সংসদ সদস্যের ছেলেকে ১০ কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলমের

জাতীয়

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: পটিয়ার সংসদ সদস্য ও হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনকে ১০ কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম চৌধুরী। তিনি চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব এবং নগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক।

সম্প্রতি নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনের সাথে দিদারুল আলম চৌধুরীর কথোপথনের একটি অডিও ফাঁস হয়।সেখানে দিদারুল আলম চৌধুরীকে বলেন, ‘গালবাজি যেখানে-সেখানে করবি রাস্তাঘাটে চড় মেরে মুখের দাঁত সবগুলো ফেলে দেবো। বেয়াদব কোথাকার।’ এছাড়া শারুন বেশ কিছু গালাগালাজও করেন দিদারুল আলম চৌধুরীকে।

কিন্তু নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন গণমাধ্যমে বলেন, দিদারুল আলম চৌধুরী নিজের উস্কানিমূলক অশ্লীল কথাগুলো কেটে ফেলে দিয়ে বিভিন্ন অংশ জোড়া লাগিয়ে শুধু আমার রাগন্বিত বক্তব্যগুলো প্রচার করে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।

এবার নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনের বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন দিদারুল আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ১৯৮৪ সালের ২১ জানুয়ারী আমার শিশু পুত্র মো. জাবের চৌধুরী ১ মাস ৭ দিন বয়সে মৃত্যুবরণ করলে তার দাফন সেরে আমি ক্রিকেট দল নিয়ে ফাইনাল খেলায় মাঠে নেমে বিজয় দিবস ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। গত শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময়ে শামশুল হক চৌধুরীর ছেলে শারুনের সাথে উপরোক্ত বিষয়ে আলাপচারিতায় সে বলে, আংকেল আমার জন্মও তো ১৯৮৪ সালে। ওই মুহূর্তে আমি তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে আমার ছেলে বলে সম্বোধন করি।
তিনি আরও বলেন, মোবাইলে আলাপচারিতার বিষয়কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সংগঠন ও বিভিন্ন জনের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার চাপ সৃষ্টি করলেও ওই ছেলে সম্পর্কটি মনে এনে কিছু করিনি এবং কাউকে করতেও দিইনি। যেহেতু জুয়ার একটি ভাগে লাভবান হয়ে কোন সন্ত্রাসী দিয়ে আমার ওপর আক্রমণ করতে পারে ভেবে পাঁচলাইশ থানায় একটি আবেদন করে রাখি।
আজ বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারলাম, তার সাথে কথোপকতনের অডিও রেকর্ডটি এডিট করা হয়েছে। এটা জেনে নিশ্চিত হলাম যে, রক্ত তার নিজস্ব গতিতে চলে এটাই স্বাভাবিক। অডিও রেকর্ডে একটি শব্দও যদি এডিট করা হয়েছে প্রমাণে আমি ১০ কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করলাম।

দিদারুল আলম চৌধুরী আরও বলেছেন, এছাড়া আমি তাকে বারবার কল করেছি বলে যে উক্তি করেছে, সে উক্তির পরিপ্রেক্ষিতে বলছি, গত কয়েক বছরের মধ্যে তার সাথে আমার মোবাইলে কথোপকথন হয়েছে কললিস্ট থেকে প্রমাণে আরো ১০ কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করলাম। ওই কথোপকথনে সে বলেছিল, আংকেল আমাকে ফোন করতেন, আমি আমার মোবাইল সেটটি চুরি হওয়ায় তার নাম্বারটি হারিয়ে ফেলেছি বলে তাকে জানাই, যাহা ওই অডিও রেকর্ডের কথোপকতনে আছে। এই প্রমাণিত হল যে, আমি ছেলের আদরে যতই দামী কোর্ট পরাই না কেন প্রতারকের রক্ত থেকে ভাল কিছু আশা করা যায় না। প্রবাদ আছে, “কয়লা ধু্ইলে ময়লা যায় না।” সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *