নাটোর প্রতিনিধি: বিশ্বে বাল্যবিবাহের সব্বোর্চ হারের দিক থেকে বাংলাদেশ অন্যতম। আর বাল্যবিয়ে আড়াল করতে কনের আসনে বসে পড়েন ভাবি। তবু শেষ রক্ষা হয়নি। গোপনে খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন বন্ধ করে দেয় সেই বিয়ে। শুধু তাই নয়, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে সাজানো কনে (ভাবি) ও তার স্বামীকে (কনের ভাই) আটক এবং জরিমানা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তমাল হোসেন।
শুক্রবার রাতে ওই এলাকার মিলন প্রামাণিকের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ১৩ বছরের মেয়ে মিমকে চাটমোহর উপজেলার রওশন আলীর ছেলে মানিক রায়হানের (২৭) সঙ্গে বিয়ে দিচ্ছিলেন। বেশ ঘটা করেই আয়োজন করা হয়েছিলো। কিন্তু প্রতিবেশিরা ৯৯৯ এ ফোন করে বাল্য বিয়ের খবর দিলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে বর-কনেকে আটক করেন। পরে কনের বাবাকে ১৫ হাজার এবং বরের বাবাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে কনের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবে না মর্মে মুচলেকা নিয়ে ছাড়া হয়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, বাল্যবিয়ে সমাজের জন্য অভিশাপ। এটা বন্ধে প্রশাসন বদ্ধ পরিকর।
তিনি জানান, শুক্রবার দুপুরে বাল্যবিয়ের তথ্য পেয়ে তিনি উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা নাহিদ হাসানকে ঘটনাস্থল বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গ্রামে পাঠান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান, বর ও কনে নিজ আসনে বসে আছে। খাওয়া-দাওয়া চলছে। কনের বয়সও ঠিক রয়েছে। বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায় গোপনে পাওয়া তথ্যের বিষয়ে তিনি খোঁজখবর নেন।
প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে পূর্ব প্রস্তুতি মতো কনের ভাবিকে কনের আসনে বসানো হয়েছে বলে নিশ্চিত হন। এ ঘটনায় কনের আসনে বসা ভাবি ও তার স্বামীকে (কনের ভাই) আটক করা হলে অভিভাবকরা প্রকৃত কনেকে (দশম শ্রেণির ছাত্রী) হাজির করেন। সূত্র: পূর্বপশ্চিম।
স্ব.বা/শা