রাজশাহীতে আ’লীগ নেতা দুই ভাইয়ের নামে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে মানববন্ধন

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টু ও তার ভাই জেলা কৃষকলীগের সভাপতি রবিউল আলম বাবুর বিরুদ্ধে দৈনিক কালেরকন্ঠ ও বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে নগরীর সাহেব বাজার মনি চত্তরে বিকাল তিনটাই মানববন্ধন করা হয়েছে।

রোববার দৈনিক কালেরকন্ঠে ‘ছাত্রলীগ নেতার খুনি এখন প্রভাবশালী আ.লীগ নেতা’ এবং বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামী এখন আওয়ামী লীগ নেতা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এর প্রতিবাদে আমরা নতুন প্রজন্মের আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি রবিউল আলম বাবু, মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন, কাটাখালী পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি জনি আহম্মেদ, মহানগর জাতীয় পাটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামিম সরকার, রাসিক ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রানা খান।
উপস্থিত ছিলেন আমরা নতুন প্রজন্মের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সবুর খান, অধ্যাপক এন্তাজ আলী, হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বজলে রেজবি আল হাসান মুঞ্জিল, হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান নবাব, হরিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ বাবর আলী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহফুজ আলী, হরিপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি স্বপন আলী প্রমুখ।

সভায় জেলা কৃষকলীগ সভাপতি রবিউল আলম বাবু বলেন, আজিজুল আলম বেন্টু আমার সহোদর ভাই। আমরা মুক্তিযোদ্ধার ও আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। আমাদের কি ছিল কি আছে এলাকায় খোঁজ নিলেই পাওয়া যাবে। আমরা অনেকেই হত্যা মামলার আসামী হলেও হত্যার সাথে জড়িত না। কালেরকন্ঠ ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের মত জনবহুল পত্রিকায় মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত খবর প্রকাশে আমাদের হতবাক করেছে। আমরা বলতে বাধ্য হচ্ছি আমাদের জড়িয়ে যারা খবর পরিবেশন করছেন তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এবং আওয়ামী পরিবারের সন্তান হতে পারে না।

তিনি বলেন, আজিজুল আলম বেন্টু নাকি ট্রাক চালাতেন, মাছ বিক্রি দুধ বিক্রি করতেন এসব মিথ্যা খবরে পুরো রাজশাহী নগরী বিস্ময় প্রকাশ করছে। আজিজুল আলম বেন্টুর পারিবারিক ঐতিহ্য রয়েছে। আজিজুল আলম বেন্টু নাকি ভূঁইফোড় আওয়ামী নেতা। স্বাধীনতার সময়ে আজিজুল আলমের পিতা পবা থানা ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। এর খেসারত দিতে হয়েছে বেন্টুর পরিবারকে। স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধে আজিজুল আলম বেন্টুর বড়ভাই সামশুল আলম শহীদ হয়েছেন। সিন্দুকের সোনার অলংকার লুটপাট হয়েছে। আমরা আওয়ামী পরিবার থেকে এসেছি।

সাংবাদিকদের বলা হয় সমাজের বিবেক। কিন্তু কালেরকন্ঠ ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের রাজশাহীর সাংবাদিকদের তা মনে হচ্ছে না। তারা মনগড়া একটি প্রতিবেদন ছাপিয়েছেন। যা রাজশাহীবাসী প্রত্যাখান করেছে। পাশাপাশি মিথ্যা খবর ছাপানোতে পত্রিকা দু’টির গ্রহণযোগ্যতাও কমেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েকবছর আগে খালি হাতে এসেছিলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাজী শাহেদ। আর দুর্গাপুর থেকে এসেছেন রফিকুল ইসলাম। আরো খোঁজ নিলে হয়তো জানা যাবে আপনারা কেহই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের পরিবারে জন্ম নেননি এবং রাজশাহী জেলার বাসিন্দা না। কারণ রাজশাহী জেলার বাসিন্দারা পরনিন্দা করেন না।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা উত্তরকালে পাঁচ লাখ টাকা পরিত্যক্ত হয়েছে। রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে আমাদের পরিবারের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য এ দুইটি পত্রিকায় গত প্রায় ছয় মাস ধরে মাঝে মধ্যে বিভিন্নভাবে আমার বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। শুধু আমার বিরুদ্ধে নয় এই দুইটি পত্রিকা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি অন্যতম সদস্য ও মহানগরের সভাপতি এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের ঘনিষ্ঠজন নেতা হিসেবে যারা পরিচিত তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে।

 

তিনি আরো বলেন, গত ১০ বছরে সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, ভূমি দখলবাজি এবং মাদক চোরাচালন ও বিট খাটাল নিয়ন্ত্রণ করে জিরো থেকে হিরো হয়ে শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হয় না। তাদের সমাজে কোন গ্রহনযোগ্যতাও নেই। কিন্তু যাদের সমাজে গ্রহনযোগ্যতা আছে বা আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। বলতে দ্বিধা নেই এই দুইজন সাংবাদিকের শুদ্ধিচার প্রয়োজন।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *