বাঘায় চরের জমি দখল নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ,জনপ্রতিনিধি লাঞ্চিতসহ আহত-৩

রাজশাহী লীড

বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় জমি-জমা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে জনপ্রতিনিধি লাঞ্চিতসহ আহত হয়েছে তিনজন। জমির দখল নিয়ে উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের চকরাজাপুর গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার (২১-১১-১৮) বিকেলে পদ্মার চরে জেগে উঠা জমির দখল নিয়ে চকরাজাপুর গ্রামের জিন্না মোল্লা, জলিল মোল্লা, নজরুল বিশ্বাসের সাথে একই ইউনিয়নের কালিদাসখালী, লক্ষীনগর ও দিয়াড়কাদিপুর গ্রামের জগলু বিশ্বাস, জহুরুল ইসলাম, ফাইম সরকার ও আওয়াল শেখের বিবাদ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় গুরুতর আহত হয় চকরাজাপুরের আবুল হোসেন, নজরুল বিশ্বাস ও শাকিল শেখ। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে আবুল হোসেনের অবস্থা আশংকাজন বলে জানা গেছে।

চকরাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, চকরাজাপুর মৌজায় প্রায় এক হাজার বিঘা জমি জেগে উঠেছে। এসব জমি পৈত্রিক দাবি করে ভাগ বাটোয়ারা করতে যায় চকরাজাপুরের জিন্না মোল্লা, জলিল মোল্লা ও নজরুল বিশ্বাসসহ শতাধিক ব্যক্তি। এ সময় কালিদাসখালী, লক্ষীনগর ও দিয়াড়কাদিপুর চরের জগলু বিশ্বাস, জহুরুল ইসলাম, ফাইম সরকার, আওয়াল শেখ, আলম শেখসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি ওই জমি তাদের বলে মালিকানা দাবি করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে সঘর্ষ বাঁধে। ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের থামাতে গেলে তাকেসহ অপর জনপ্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন শিকদার, ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম শিকদারকে উল্টো লাঞ্চিত করেন জগলু বিশ্বাস ও জহুরুলসহ তাদের পক্ষের লোকজন।

চকরাজাপুর চরের জিন্না মোল্লা বলেন, আমরা শতাধিক ব্যক্তি এই জমি দীর্ঘদিন থেকে চাষাবাদ করে আসছিলাম। ভাঙনে সেসব জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। পরে জেগে উঠলে ভাগবাটোয়ারা করতে যান। এ সময় তাদের হামালা চালায় প্রতিপক্ষরা। কালিদাসখালী চরের জগলু বিশ্বাস বলেন, জেগে উঠা চরে আমাদেরও জমি ছিল। এই জেগে উঠা জমি আমাদের কিছু না জানিয়ে তারা ভাগবাটোয়ারা করতে যায়। বিষয়টি নিয়ে তর্কবির্কের এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয়েছে।

অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসীন আলী বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেছেন। বর্তমানে শান্ত রয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান ওসি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *