বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারায় এক কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ছাত্রীর নাম তামান্না সুলতানা ওরফে টিয়া (১৭)। সে উপজেলার আবদুর রশিদের মেয়ে। পরিবারের অভিযোগ, ওই ছাত্রীকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
সে সাধনপুর পঙ্গু শিশু নিকেতন স্কুল ও কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আজ শনিবার সকালে নলডাঙ্গার পাশে পীরগাছা এলাকার একটি আমগাছ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ছাত্রীর বাবা আবদুর রশিদ বলেন, তাঁর মেয়ের সঙ্গে পুঠিয়ার ছেলে শান্ত ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা দুজনই বিয়ের জন্য অভিভাবকদের চাপ দেয়। তবে দুই পরিবারের কেউ এ বিয়ের ব্যাপারে রাজি ছিল না। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শান্ত কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে তাদের বাড়িতে আসে। এ সময় তারা মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। সারা রাত খোঁজাখুঁজি করেও মেয়ের সন্ধান পাননি তাঁরা।
আজ সকাল ১০টার দিকে বাড়ির কাছে একটি আম গাছে মেয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে তিনি মেয়ের লাশ শনাক্ত করেন। পরে নাটোরের নলডাঙ্গা থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
আবদুর রশিদের অভিযোগ, মেয়েকে অপহরণের পর ধর্ষণ শেষে মেরে ফেলে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে প্রেমিক শান্ত।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, মেয়ের বাড়ি বাগমারায়। তবে লাশটি মেয়ের বাড়ির কাছাকাছি নলডাঙ্গা থানার ভেতরে পাওয়া গেছে। তারাই তদন্ত করবে।
তবে নাটোরের নলডাঙ্গা থানার ওসি উজ্জ্বল হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের বা আঘাতের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। লাশ মর্গে পাঠানো হবে। প্রতিবেদন পেলে বোঝা যাবে ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে কিনা।
স্ব.বা/শা