স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে পশ্চিমাঞ্চল রেলের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী সানোয়ার হোসেন রাসেল (৩০) নিহতের ঘটনায় পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার রাতে নগরের শিরোইল কলোনী এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
এর আগে রাতে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় রাসেলের ভাই মনোয়ার হোসেন রনি বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ২৫ জনকে আসামী করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চন্দ্রিমা থানার ওসি গোলাম মোস্তফা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নগরে শিরোইল কলোনী এলাকার বুলবুল হোসেনের ছেলে আসামী রাব্বি (২৫), জয়নালের ছেলে বাপ্পি (১৯), নূর মোহাম্মদ সরদারের ছেলে শাহিন (২৪), মানিকের ছেলে শুভ (২১), বাবু ইসলামের ছেলে চঞ্চল (১৯), জালাল উদ্দিনের ছেলে কলাম উদ্দিন (১৯), আবুল কালাম চৌধুরীর ছেলে মোজাহিদুল ইসলাম অভ্র (১৯)।
ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বুধবার রাতে নগরের শিরোইল কলোনি এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সবাই সৈনিক লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানান তিনি।
ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, রেল ভবনের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নগরের বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নিহত রাসেলের ভাই আনোয়ার হোসেন রাজার সঙ্গে মহানগর সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন আলীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। দুপুরে রেল ভবনের সামনে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এরই একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধা। এ সময় রাসেলসহ পাঁচজন আহত হন। পরে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাসেল মারা যান।
নিহত রাসেল রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সদস্য। নগরীর বাস্তুহারা এলাকায় তার বাড়ি। রাসেলের বাবার নাম মৃত আবুল কাশেম। সংঘর্ষের সময় রাসেলের পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল বলে জানান ওসি গোলাম মোস্তফা।
স্ব.বা/শা