রাজশাহীর বাজারে ঝাঁজ ছড়িয়েছে পেঁয়াজ

কৃষি রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর আকাশছোঁয়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। রাজশাহীর বাজাররে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়ে ২৩০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে পোঁছেছে। এদিকে সরবরাহ কমের অজুহাতে চালের দামও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।

রাজশাহী মহানগরীসহ এর উপকন্ঠের বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পেঁয়াজের দাম আরেকদফা বৃদ্ধি পেয়ে স্মরণকালের রেকর্ড মূল্যে পৌঁছেছে। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। ক্রেতারা বলছেন, তারা কখনও এতো বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখেননি।

পেঁয়াজের এই অস¦াভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিক্রেতারা সরবরাহ কমের কথা বলছেন। পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ২১০ থেকে ২২০ এবং আমদানি করা বিদেশি পেঁয়াজ ২শ’ থেকে ২১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে দেশি ২৩০ থেকে ২৫০ এবং আমদানি করা বিদেশি ২১০ থেকে ২২০ টাকায়।

গত বৃহস্পতিবার পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১৮০ থেকে ১৯০ এবং আমদানি করা বিদেশি পেঁয়াজ ১৬০ থেকে ১৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে দেশি ১৯৫ থেকে ২১০ এবং আমদানি করা বিদেশি ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায়। লাগামহীন ভাবে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ ক্রেতারা হতাশ। তারা দাম শুনে আঁতকে উঠছেন।

রাজশাহী জেলা বাজার কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, সারা দেশেই পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। দর নিয়ন্ত্রণে সরকারি ভাবে আমদানির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

এদিকে সরকার আমন মৌসুমের ধান-চাল কেনার ঘোষণা দেয়ায় বাজারে ধান-চালের দাম বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরা বাজারে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা। কুমারপাড়ার পাইকারি আড়তগুলোতে প্রতিকেজি গুটিস্বর্ণা ২৭/২৮, পারিজা/ লালস্বর্ণা ২৯/৩০, আটাশ ৩৪/৩৫, মিনিকেট ৩৬/৩৭, বাসমতি ৪৮ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি গুটিস্বর্ণা ৩০/৩১, পারিজা/ লালস্বর্ণা ৩৩/৩৪, আটাশ ৪২ থেকে ৪৪, মিনিকেট ৪৫ থেকে ৫০ এবং বাসমতি ৫৪ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এদিকে সরবরাহ কম হওয়ায় রাজশাহীতে সবজির দাম আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিকেজি সিম ৭০, ফুলকপি ৬০, টমেটো ৮০, গাজর দেশি ৬০, বিদেশি বাঁধাকপি প্রতিটি ২০, প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ৬০, বেগুন ৪০ থেকে ৫০, শশা ৪০ থেকে ৫০, কাকরোল ৪০, আলু ২২ থেকে ২৪, পটল ৩০, করোলা ৫০, কচু ৪৫, পেঁপেঁ ১৫ থেকে ২০, ঢেঁড়স ৪০, মিষ্টিকুমড়া ২৫, লাউ ও চালকুমড়া প্রতি পিস ২৫, প্রতি হালি কলা ১৬, লেবু ১৬ থেকে ২৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এদিকে ইলিশ মাছের সরবরাহ বৃদ্ধির প্রভাবে অন্যান্য মাছের দাম নিম্নমুখী। প্রতিকেজি ইলিশ ছোট সাইজ ৪শ’ থেকে ৬শ’ এবং বড় সাইজ ৭শ’ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিকেজি ছোটমাছ ২শ’ থেকে ৫শ’, সিলভার কার্প ১১০, পাঙাস ১১০, রুই-কাতলা ১৬০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

প্রতিকেজি গরুর মাংস ৫২০ থেকে ৫৫০, খাসির মাংস ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিকেজি মুরগি ব্রয়লার ১১০ থেকে ১২০, সোনালী ২২০, দেশি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিহালি সাদাডিম ৩২ থেকে ৩৪ এবং লালডিম ৩৪ থেকে ৩৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

মুগ ডাল বড়দানা ৬০, ছোটদানা ১২০, মসুর ডাল বড়দানা ৫৭, ছোট দানা ১০৮, ছোলার ডাল ৯০, এংকর ডাল ৪০, খেসারি ডাল ৬০, আটা খোলা ২৮ এবং প্যাকেট ৩২/৩৩ টাকায় বিক্রি হয়েছে, প্রতিলিটার সয়াবিন তেল খোলা ৭৮, বোতল ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা, চিনি খোলা ৫৮, প্যাকেট ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *