যেন দম ফেলার সময় নেই রাজশাহী বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের : লাইসেন্স প্রত্যাশী বেড়েছে দশগুণ

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর হওয়ার পর প্রচুর পরিমানে ভিড় বেড়েছে রাজশাহী বিআরটিএ অফিসে। রাজশাহী বিআরটিএ অফিসে প্রতিদিনই প্রচন্ড চাপ দেখা যাচ্ছে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স, যানবাহনের রেজিষ্ট্রেশন, ফিটনেস প্রত্যাশিদের ভিড় সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ। তারপরও নিরবিচ্ছিন্ন সেবাও দিয়ে যাচ্ছেন সেবাপ্রার্থীদের। রাজশাহী বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের কাছে আগের থেকে প্রায় দশগুন বেশি আবেদন জমা পড়ছে। আগে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩শ জন আবেদন করত। বর্তমানে সেটি বেড়ে ৩ হাজার জনেরও বেশি হয়ে গেছে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া কিংবা যানবাহনের কাগজপত্র নবায়ন করতে হঠাৎই বেড়েছে আবেদনের হিড়িক। নতুন আইনের কঠোর নির্দেশনার পরই এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে বিআরটিএ অফিসে।

সরেজমিনে মঙ্গলবার গিয়ে দেখা যায়, পুরো বিআরটিএতেই ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশিদের ভিভ। সবখানেই লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। রাজশাহী বিআরটিএতে যেন পা ফেলার জায়গা নেই।

বিআরটিএ রাজশাহী সার্কেল অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে আসা মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, চলতি বছরের শুরুতে একটি মোটরসাইকেল কেনা হয়েছে। কেনার পর থেকেই ড্রাইভিং লাইসেন্স করব করছি করে ১০ মাস কেটে গেছে করা হয়নি। এখন করতে এসেছি।

এখন করছেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে নতুন আইন হয়েছে। সেই আইনের জরিমানা আগের চেয়ে কয়েকগুন বেশি। তাই এখন এত টাকা জরিমানা দেয়ার থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স করাই ভালো।

সেজন্য বিআরটিএতে এসেছি ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য। এসে দেখি অফিসে প্রচুর ভীড় সময়ও লাগছে অনেক। সময় বেশি লাগলেও আবেদন করে তারপর যাব।

আরেক ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যশী শামসুল ইসলাম বলেন, আমাদের সবারই ড্রাইভিং লাইসেন্স করে নেয়া উচিৎ। যেহেতু নতুন আইন হয়েছে তাই আমিও ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে এসেছি।

রাজশাহী বিআরটিএ’র মোটরযান পরিদর্শক মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের প্রতিনিয়ত ড্রাইভিং লাইসেন্স, যানবাহনের রেজিষ্ট্রেশন, ফিটনেস প্রত্যাশিদের ভিড় সামলাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। তারপরও অফিসের সকল কর্মকর্তারা নিরবিচ্ছিন্ন সেবাও দিয়ে যাচ্ছি সেবাপ্রার্থীদের।

বিশেষ করে এখন ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশীর সংখ্যায় বেশি। সেজন্য তাদের কাগজপত্র সঠিক ভাবে যাছাই-বাছাই করে আবেদন গ্রহন করা হচ্ছে। তারপর লিখিত পরীক্ষা, প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।

বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক ইঞ্জিঃ এ. এস. এম কামরুল হাসান বলেন, বর্তমান সময়ে আমাদের এখানে আগের থেকে প্রায় ১০ গুন বেশী আবেদন জমা পড়ছে। সেই তুলনায় আমাদের লোকবল নেই। এসময় আমরা বাড়তি চাপ সামলাতে হিমসিম খাচ্ছি।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *