স্টাফ রিপোর্টার: নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরের ঘোষণার পর গত সোমবার থেকে ভয়ে গাড়ি বের করছেন না রাজশাহীর বেশিরভাগ শ্রমিক। রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন শ্রমিকদের রাস্তায় গাড়ি বের করার নির্দেশ দিলেও শ্রমিকরা শুনছেন না। উল্টো বুধবার সকাল থেকে গাড়ি চলাচলে বাঁধা দিচ্ছেন তারা।
এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী বাস টার্মিনালে গিয়ে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী বাস চলাচলের ঘোষণা দেন। তখন তিনি বলেন, কিছু পরিবহণ মালিক শ্রমিকদের দোহাই দিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চায়। তবে রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মতিউল ইসলাম টিটো বলেন, এই ধর্মঘটে মালিকদের কোনো সমর্থন নেই। শ্রমিকরা গাড়ি চালাচ্ছেন না। এটি তাদের বিষয়।
এদিকে শ্রমিক নেতা মাহাতাবের নির্দেশের পর ফিটনেসহীন নয় এমন গাড়িগুলো চলাচল শুরু হয়। কিন্তু বেলা ১১টার দিকেই শ্রমিকরা নগরীর আমচত্তর এলাকায় অবস্থান নিয়ে গাড়ি চলাচলে বাঁধা দিতে শুরু করেন। এ সময় পুলিশ গিয়ে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। শ্রমিকরা সরে দাঁড়ান। তবে পুলিশ চলে যাওয়ার পর তারা আবারও বাস-ট্রাক চলাচলে বাঁধা দিচ্ছেন। এসব বাধা উপেক্ষা করে রাজশাহী থেকে বিভিন্ন রুটে খুব স্বল্প সংখ্যক যানবাহন চলাচল করছে।
রাজশাহীতে ফিটনেসবিহীন কোনো বাস চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে না। এতে জনমনে যেমন সন্তোষ দেখা দিয়েছে। তবে দুর্ভোগও রয়েছে। কারণ, পরিবহন শ্রমিকরা ফিটনেসবিহীন বাস না চালানোর কারণে সড়কে পরিবহনের সংখ্যা কমে গেছে। বিশেষ করে ফিটনেস আছে এমন বাসের সংখ্যা খুবই কম।
জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী বলেন, এক শ্রেণির শ্রমিক গাড়ি বন্ধ করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায়। কিন্তু মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন তা হতে দেবে না। তাই ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সবাইকে রাস্তায় গাড়ি বের করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্ব.বা/শা