রাজশাহী নগরীতে ২১ দিনের মধ্যে ৫ জন খুন

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে তিন সপ্তাহে পাঁচটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নভেম্বরের শেষ ১৭ দিনে চারটি হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। চলতি মাসের পাঁচ দিনের মধ্যে একটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।

এই পাঁচ হত্যাকান্ডের মধ্যে চারটি রাজশাহী নগরে এবং একটি হত্যকান্ড ঘটে গোদাগাড়ীতে। নিহতদের মধ্যে দুজন কলেজছাত্র, একজন যুবলীগ কর্মী ও দুইজন ব্যবসায়ী।

হত্যাকান্ডের মামলাগুলোতে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানিয়েছেন। তিনি বলেন, হত্যাকান্ডের মামলাগুলো গুরুত্বসহ দেখা হচ্ছে। নগরীর চারটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় দুই মামলার সব আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুধু আলোচিত রাসেল হত্যাকান্ডের আসামিরা পলাতক আছে। এ ছাড়াও সর্বশেষ হত্যাকান্ডের শিকার আব্দুল মজিদের খুনিদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

গত ১৩ নভেম্বর দুপুরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের সামনে হত্যা করা হয় যুবলীগ কর্মী সানোয়ার হোসেন রাসেলকে (৩০)। এ ঘটনায় তার ভাই রাজাও আহত হন। একইদিন মহানগরীর পবা নতুনপাড়া এলাকায় ছুরিকাঘাতে আবদুল্লাহ আল ফাহিম (১৮) নামের কলেজছাত্র নিহত হন। ২১ নভেম্বর বিকালে গোদাগাড়ীর কদম শহরে ক্রিকেট খেলা নিয়ে প্রতিপক্ষের হাতে ছুরিকাঘাতে শান্ত ইসলাম (২০) নামের আরেক কলেজছাত্র নিহত হন। আহত হন তার ভাই স্বপন ইসলাম। ৩০ নভেম্বর নগরীর মালদা কলোনিতে রাজন শেখ (২৮) নামে এক মুদি দোকানিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার মূলহোতা সোহেল ও আবদুর রহিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এদিকে, সর্বশেষ বুধবার গভীর রাতে রাজশাহীতে খামার মালিককে খুন করে চারটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত আব্দুল মজিদ দাসপুকুর এলাকার মৃত আব্দুল অজিজের ছেলে। সিটি বাইপাস সড়কের পাশে খাস জমিতে আব্দুল মজিদ খামার গড়ে তোলে। সেখানে দুইটি গাভী ও দুটি বাছুর পালন করছিলেন।

রাজপাড়া থানার ওসি শাহাদত হোসেন খান বলেন, বাড়ির পাশের একটি খাস জমিতে খামার করে সেখানে স্ত্রীসহ আব্দুল মজিদ গরু পাহারা দিতেন। তবে গত রাতে তার স্ত্রী সাথে ছিলেন না। বৃহস্পতিবার সকালে পরিবারের সদস্যরা লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেন্সিক বিভাগের মর্গে পাঠায়।

ওসি বলেন, বুধবার রাতের কোন এক সময় দুর্বৃত্তরা তাকে শ^াসরোধ করে হত্যা করে খামার থেকে চারটি গরু নিয়ে যায়। এর মধ্যে ২টি গাভী ও ২টি বাছুর। কারা এ ঘটনা ঘটিছে তা সনাক্ত করতে তদন্ত শুরু হয়েছে। আশা করছি খুন দ্রুত এর সঙ্গে জড়িতদের খোঁজে বের করা সম্ভাব হবে।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *