বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের লালপুরে বিদ্যালয়ের ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ১১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপনের জন্য গত ৮ই ডিসেম্বর গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ৮টি সফ্টওয়্যার কোম্পানিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
উক্ত সভায় কোম্পানিগুলোর ডিভাইস যাচাই-বাছাই করে তিনটি কোম্পানি গ্রহণ যোগ্যতা পায় এবং তাদের পরে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
কিন্তু দুইদিন পরে জানা যায়, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলামের এক আত্মীয়’র কোম্পানিকে এককভাবে হাজিরা মেশিন স্থাপনের সিদ্ধান্ত দেয়া হয়, এবং অন্য দুই কোম্পানিকে বাদ দেওয়া হয়। নামমাত্র ক্রয় কমিটি গঠন করে উক্ত সহকারী শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম নিজের কিছু শুভাকাক্সক্ষী শিক্ষককের যোগসাজশে কৌশলে তার আত্মীয়’র কোম্পানিকে ১৪০০০/- টাকা ধার্য্যে স্থাপনের কাজ দেয়া হয়।
অথচ অন্য দুই কোম্পানির রেট ১৩০০০/- টাকা থাকলেও তা নেওয়া হয়নি। এসব বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রধান শিক্ষক বলেন,তার পরিচিত এক কোম্পানি ১১০০০ টাকায় দিতে চাইলেও তাকে সুযোগ দেওয়া হয়নি।
একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন,সহকারি শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন লালপুর উপজেলায় থাকার সুবাদে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী সকল কাজ করেন।আর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের উপর চাপিয়ে দেন।
এবিষয়ে জানার জন্য সহকারি শিক্ষা অফিসারের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
স্ব.বা/শা