বাঘা প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাঘায় জননী ক্লিনিকে ৪ দিনের এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ক্লিনিকটি ঘিরে ধরে স্থানীয়রা। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে শিশুটির মৃত্যুর দাবি করে স্থানীয় লোকজন সেখানে জড়ো হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
রোববার বেলা ১২টায় মৃত্যুর পর বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত শিশুর মরদেহ ক্লিনিকেই পড়ে ছিল। ৪টার পর তার মরদেহ বাড়িতে নেয় শিশুর অভিভাবক।
ক্লিনিক ও শিশুর অভিাবকরা জানান, গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রসব ব্যাথা নিয়ে বাঘা জননী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয় ওই শিশুর মা যুথি বেগমকে। রাতে তার সিজারিয়ান অপারেশন করে বাচ্চা প্রসব করানো হয়।
অপারেশন করেন,রাজশাহীর ডা. লাইলা আঞ্জুমান বানু। এ্যানাসথেসিয়া চিকিৎসক ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার আবদুল্লাহ আল কাফি। যুথি বেগম উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়নের হিজলপল্লী গ্রামের মোজাম্মেল হকের স্ত্রী বলে জানা গেছে।
প্রসূতির স্বামী মোজাম্মেল হক বলেন, রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ক্লিনিক থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বেলা ১২টার দিকে ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে সার্বক্ষনিক চিকিৎসক ছিলেননা বলে জানান তিনি। ক্লিনিকের অবহেলার কারণে শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি তার।
তবে মৃত্যুর দায়ভার এড়িয়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ দাবি করেন,ক্লিনিকে নেওয়ার পর শিশুকে মৃত অবস্থায় পেয়েছেন। ক্লিনিকের স্বত্তাধিকারি ডাক্তার আক্তারুজ্জামান বলেন, শিশুকে দুখ খাওয়ানোর সময় তারা নিজেরাই একটি ঘটনা ঘটিয়ে ক্লিেিনকর উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছে।
ডা. লাইলা আঞ্জুমান বানু বলেন, সিজার করার পর মা ও শিশু ভালো থাকার কারনে রিলিজ নিয়ে চলে যায়। ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তারের সাথে কথা বলে জেনেছি শিশুকে দুখ খাওয়ানোর সময়ে স্বাসনালীর মধ্যে দুধ ঢুকে চোখ মুখ উল্টে গিয়ে অসুস্থ অবস্থায় ক্লিনিকে নিয়ে আসার পর মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রসূতির কোন সমস্যা নেই।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আতিকুর রেজা বলেন, এবিষয়ে কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নিবো।
স্ব.বা/শা