রাসিকে অটোরিকশার লাইসেন্স পেতে ভোগান্তিতে চালকরা

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: অটোরিকশা চালাই পাঁচ বছর ধইরা। তবে খারাপ চালাই না। কিন্তু কখনো লাইসেন্স করা হয় নাই। এখন সরকার নতুন আইন করছে। এই আইনে অবশ্য লাইসেন্স করতে হবে। তাই আর ঝুঁকি না নিয়া লাইসেন্স করতে আইলাম।

’কথাটি বললেন রাজশাহী নগর ভবনের সামনে বসে থাকা পিয়াবুল ইসলাম। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে আবেদন করতে আসা ভুক্তভুগীরা অভিযোগ উঠেয়েছেন কাউন্টারে থাকা স্টাফদের ওপর। অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তাদের আবেদন করতে দেওয়া হচ্ছেনা। অটোরিকশা চালক দের সঙ্গে অসদাচরণ ও হয়রানি করারও অভিযোগ উঠেছে। কিছু বাইরের থেকে আসা কমিশন নিয়ে কাজ করে দেওয়া কিছু অসাধু লোকের উপর।

শুধু তিনিই নই এখানে বসে থাকা আরো ভুক্তোভুগি অনেকেই অটোরিকশাচালক লাইসেন্স আবেদনের জন্য বসে আছেন। তবে তারা অভিযোগ করে বলেন, এমন করলে কেমনে হবে আমরা বউ বাচ্চারে কি খাওয়ামু। রাস্তায় রিকশা নিয়ে নামলেই তো মামলা দিয়ে দিবে ট্টাফিক পুলিশ। আমরা যদি গাড়ির লাইসেন্স না পাই তাহলে কি করে পেট চালাবো আর কতদিন বসে থাকবো। ঐদিকে কাদের নামে একজন বলে ওঠে, আমরা ৪০০/৫০০ জন ভোক্তাভুগি সকাল থেকে এসে বসে আছি সন্ধ্যা পযন্ত আবেদন করার জন্য কিন্তু, অফিসে গেলে বলছে আর নেয়া হবেনা টাগেট শেষ হয়ে গেছে।

রাজশাহী (রাসিক)সামনে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন খালেক হাসান এখানে আবেদন জমা দিতে আসা চালক নজির হাসান (৩৮)তিনি ও অনেক অক্ষেপ নিয়ে বলছিলেন যদি আমাদের লাইসেন্স না থাকে আমরা কি তাহলে না খেয়ে মরে যাবো এভবে আর কতদিন? আমাদের দিকে সিটি কর্পোরেশন কতৃপক্ষের কোনো নজর দিচ্ছেনা কেন।আমরা যে প্রতিদিন এখানে এসে বসে থাকছি লাইনে দাঁড়িয়ে পা হাতে পরছি এদিকে কেন কারো চোখ পরছেনা।

এ সময় তার কথার সুর ধরেই পবা থেকে আসা আরেক রিকশা চালক আলী বলে উঠলেন, ১০ বছর ধইরা ভুয়া লাইসেন্স দিয়া চলতাছি। নতুন আইন নিয়া এখন সরকার খুবই কঠিন। সেজন্য ভুয়া বাদ দিয়া আসলটাই করার জন্য আইলাম। নগর ভবনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, তারা বলেন,প্রতিদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানুষের জটলা লেগে থাকছ সেখানে। সিটি করপোরেশনের এক কমকতা বলেন, বিকালে অফিস সময় পেরিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্লান্তহীন সেবা দিতে হচ্ছে তাদের। এমন বাড়তি চাপে হিমশিম খেলেও, বিষয়টিকে বেশ ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে নগর ভবনের কর্তৃপক্ষ। তবে আমরা সবাইকে সবোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।

তবে অটোরিকশা চালকরা বলেন, এসব ভুয়া, আমাদের যদি না দিবে আবেদন করার সুযোগ তাহলে কেন নিয়োগ করা হয়েছিলো। যে আমরা নতুন ভাবে আবার লাইসেন্স পাবো।

একজন বলেন্, লাইসেন্স কিংবা ফিটনেস সনদ না থাকলে সর্বোচ্চ ৪৫০ টাকা পর্যন্ত জরিমানার মামলা দিচ্ছে ট্াফিক পুলিশ । আমরা সারাদিনে আয় করি ৫০০/৬০০ টাকা তাহলে কেমনে আমরা জরিমানা দিমু এতো টাকা।

সিটি কর্পোরেশন এক কর্মকর্তারা জানান, লাইসেন্সের আবেদন পড়েছে মোট দশ হাজার। এটার কাযক্রম শেষ হয়ে গেছে তবে এখনো অনক লোকজন ভিড় করছে নগর ভবনের সামনে। আমরা তাদের বললে বুঝার চেষ্টা করেনা, এটা আর আমাদের হাতে নাই তাই করার কিছু নাই।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আলিফ, নজরুল পিয়াবুল নাট্টুসহ আরো অনেকেই বসে আছেন আবেদন করার জন্য তবে তাদের কে করতে দেয়া হচ্ছনা বলে অভিযোগ ভোক্তাভুগি অটোচালক দের।তারা মনে করছেন এসব কারসাজি তাদের কে লাইসেন্স না দেওয়া অনথা কারো কাছে বেশি টাকা দিয়ে করিয়ে নেওয়ার জন্য।

সিটি কর্পোরেশন এক কমকতা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন, এখানে কিছু কিছু কমকর্তা আছেন যারা বেশি টাকার জন্য অনেক আবেদন জমা নেন নি তাই এমন টা হচ্ছে গরীব অসহায় মানুষ হয়রানি শীকার হচ্ছে। প্রতি দিন তারা কাজে না গিয়ে ঘুরাঘুরি করতে হচ্ছে। গোপনে নিচ্ছেন অতিরিক্ত টাকা রিকশাচালকদের থেকে প্রতিশুতি দিচ্ছেন লাইসেন্স করে দেওয়ার।

ভোক্তাভুগি একজন জমির মিয়া বলেন,আমার বাসায় অসুস্থ বউ, দুই মেয়ে কলেজে পরেন, আমি তাদের কি ভাবে ভরনপোষণ করাবো আমার সব টাই তো অটোরিকশা চালিয়ে করি।

এভাবে আর কত দিন চলা যাবে। বউ টা কেমনে ঔষদ কিনবো। অটোরিকশা চালকদের অভিযোগ তাদের দিকে কতৃপক্ষের কোনো নজর দিচ্ছেনা না কেন।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *