শহীদ বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক সাঈদের ছেলে বাবলুর পরিবারের একজনকে চাকরি দেবেন মেয়র লিটন

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর শহীদ বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক এমএ সাঈদের দ্বিতীয় ছেলে আলমগীর হোসেন বাবলুর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। শহীদ সন্তান চা বিক্রেতা বাবলুর পারিবারে সার্বিক খোঁজখবর নিয়েছেন এবং তার এক ছেলেকে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে চাকরি দেবেন মেয়র লিটন।

সম্প্রতি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে রাজশাহীর শহীদ বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক এমএ সাঈদের ছেলে চা বিক্রেতা-এই খরবরটি প্রকাশিত হলে বিষয়টি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের নজরে আসে। মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের নির্দেশে আজ মঙ্গলবার দুপুরে মেয়র‘র একান্ত সচিব মোঃ আলমগীর কবির ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান মিশু নগরীর মালদা কলোনিতে শহীদ সন্তান বাবলুর বাড়িতে যান।

এ সময় তারা বাবলুসহ পরিবারের সদস্যদের জানান, মাননীয় মেয়র মহোদয় দাপ্তরিক কাজে ঢাকা গেছেন। তিনি ঢাকা থেকে ফিরে এসে বাবলুর এক ছেলেকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন এবং শহীদ পারিবারেরই পাশে থাকবেন।

শহীদ সন্তান আলমগীর হোসেন বাবলু বলেন, বিভিন্ন সময় অনেকে খোঁজখবর নিয়েছেন। কিন্তু কেউ তেমন কিছু করেননি। তবে এবার মেয়র মহোদয় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের লোকজন পাঠিয়ে আমার পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছেন এবং আমার এক ছেলে চাকরি ব্যবস্থা করে দেবেন বলে জানিয়েছেন। এতে আমার পরিবারের সবাই খুশি।

উল্লেখ্য, আলমগীর হোসেন বাবলু নগরীর শিরোইল বাস টার্মিনালে ফুটপাতে চা বিক্রি করে সংসার চালান। তার বাবা শহীদ বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক এমএ সাঈদ দেশ স্বাধীনের সময় তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। রাজশাহীতে আর্ট কাউন্সিল বর্তমানে পদ্মা মঞ্চ ও রাজশাহী প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ছিলেন তিনি।

বেতার প্রতিষ্ঠাকালে সংবাদ পাঠক ও অভিনেতা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী বাহিনী তাঁকে বাড়ি থেকে ধরে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের শামসুজ্জোহা হলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে হত্যা করা হয়। পরে লাশ বিশ^বিদ্যালয়ের বধ্যভূমিতে ফেলে দেওয়া হয়।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *