বাগমারায় ধর্ষণের শিকার হয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক নারীর সন্তান প্রসব

বিশেষ সংবাদ রাজশাহী লীড

বাগমারা প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাগমারায় এক কুলাঙ্গারের কুকর্মে জনৈক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক নারী সন্তান প্রসব করেছে। ঘটনা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের রমজানপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহিম প্রামানিকের কুলাঙ্গার পুত্র আয়নাল হকের কু-নজর পড়ে একই গ্রামের জনৈক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক নারীর উপর। আয়নাল হক প্রথমে জোরপূর্বক এবং পরবর্তীতে ফুসলিয়ে ও বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখে বলে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ঐ নারী সংবাদ কর্মীদের জানিয়েছেন (অডিও এবং ভিডিও ফুটেজ রয়েছে)। এলাকা সুত্রে জানা যায় একই উপজেলার পাশের মনোপাড়া মাদিলা গ্রামের বেলাল হোসেনের সাথে প্রতিবন্ধী ঐ নারীর ৬ মাস পূর্বে বিয়ে হয় । গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের নিকট নেয়া হলে চিকিৎসক জানান, গর্ভের সন্তানের বয়স নয় মাস চলছে। তারপর স্বামী বেলাল হোসেন তাঁর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্ত্রীকে নষ্টা আখ্যা দিয়ে তালাক প্রদান করেন।

বর্তমানে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ঐ নারী জন্ম দেন ফুটফুটে এক শিশু কন্যার। মাস পেরিয়ে গেলেও পিতৃপরিচয়হীন হওয়ায় শিশুটির নাম ও প্রতিশেধক কোন টীকা,ভ্যাকসিন দেয়া হয়নি। সে কারণে অনাথ শিশুটির শারীরিক বিকলাঙ্গসহ নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। শিশুটির মামা ছাবের আলী জানান, প্রতিপক্ষ প্রথমে আমাদের আপোষের প্রস্তাব দিলেও এখন তাঁরা কোন কিছুর তোয়াক্কা করছেন না। আমরা গরিব মানুষ, কোর্ট কাচারি করার
সামর্থ্য আমাদের নেই। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মেয়ে ও পিতৃহীন কন্যা শিশুটিকে নিয়ে দিশেহারা ঐ  পরিবার। তাদের নেই কোন সামাজিক, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা। এখনো অসহায় এই পরিবারটির পাশে এগিয়ে আসেনি কোন সমাজপতি, এনজিও বা রাষ্ট্রীয় কোন প্রতিষ্ঠান। রমজানপাড়া গ্রামের বাসীন্দা আবুল হোসেন মোল্লা, শাহিদা বিবি, সোনাডাঙ্গা ভরট্র গ্রামের জালাল হোসেন, শিশুটির মামা এবং নানী ফাতেমা বেওয়া শীতের বিকেলে পুরাতন কাপড় পেচিয়ে শিশুটিকে সংবাদকর্মীদের সামনে এনে বিচারের আকুতি জানায়।

গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের ০৩ নং ওয়ার্ড সদস্য মমতাজ হোসেন অপরাধী সনাক্ত করে সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানিয়েছেন। এর পূর্বেও আয়নাল হক একাধিক কুকর্মে গ্রাম্য শালিসে অর্ধ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা দিয়েছেন বলে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে বাগমারা থানায় লিখিত অভিযোগ রয়েছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে অভিযুক্ত আয়নাল হক এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে রয়েছেন। এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা না হওয়ায়, অসহায় এ নারীর স্বজনদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।রাজশাহীর জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাঁরা ।সরজমিনে আয়নাল হকের বাড়ীতে গেলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ভাবী পরিচয় দানকারী রোকেয়া বেগম নামক এক মধ্য বয়সী নারী  আয়নাল হক কাজ করতে বাহিরে গেছেন বলে সংবাদকর্মীদের জানিয়েছেন। বাড়ীর কোন পুরুষ সদস্যদেরও দেখা মিলেনি।

আজ শনিবার মুঠোফোনে বাগমারা থানা পুলিশের কাছে বিষয়টি নিয়মিত মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হবে কী না জানতে চাইলে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, ওসি স্যার চিকিৎসাধীন এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তিনি পরে বলতে পারবেন।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *