রাজশাহীর পবায় রোগীদের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করেন ডাক্তার রাবেয়া

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে অবৈধভাবে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। জেলার পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত ডা. রাবেয়া বসরি’র বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে।

জানা গেছে, রাজশাহীর পবা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন কাজে তিনি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করে আসছেন। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভায় তিনি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আসেন। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে নানা গুঞ্জন শুরু হয়।

বর্তমানে পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দু’টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। ডা. রাবেয়া বসরি মাঝে মাঝে নতুন অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করলেও নিয়মিত পুরাতন অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করে আসছেন।

এমনিতেই জনবল সংকটে পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সংকটের মধ্যেও এখানকার চিকিৎসকরা ব্যস্ত থাকেন প্রাইভেট প্যাকটিসে। ফলে ইসিজি ও আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিন থাকলেও তা নিজেরাই অকেজো করে রাখে বলে অনেকের অভিযোগ। এছাড়াও রয়েছে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির অভাব। আবার ৫০ শয্যার হাসপাতাল হলেও ৩১ শয্যার কার্যক্রমেও নানা সমস্যায় জর্জরিত। ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হলেও ডাক্তার ও ওষুধের বরাদ্দ আগের মতই। ফলে রুগি সেবায় হিমশিম খেতে হয়। প্রতিদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা শতশত মানুষ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিনই প্রায় ৬শ’ রুগি সেবা নিতে আসেন।

পবা উপজেলা ৮ টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা সমন্বয়ে গঠিত যার আয়তন ২৮০.৪২০ বর্গ কিঃ মিঃ। প্রায় ৪ লাখ জনসংখ্যা এই উপজেলাতে। এরপরও গোদাগাড়ী উপজেলার বেশকিছু রুগি প্রতিদিনই এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সেবা নিয়ে থাকেন। হাসপাতালে রয়েছে লোকবল সংকট। হাসপাতালের ইসিজি ও আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিন থাকলেও সেটা অকোজা রয়েছে। অথচ কিছুদিন আগেও মেশিন দু’টি চালু ছিল। অনেকেই অভিযোগ করেছেন মেশিন অপারেটর’র ইচ্ছাকৃত এবং প্রাইভেট ক্লিনিকের সাথে যোগাযোগ থাকায় মেশিন দু’টি অকেজো করে রাখা হয়েছে।

কারণ হিসেবে ভূক্তভোগিরা জানান, এর আগে এক্স-রে মেশিন আলোর মুখ দেখেননি। এক্স-রে মেশিন অপারেটরের দৌরাত্ম সম্পর্কের সংশ্লিষ্ট জানেন। তাকে অন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলী করলেও প্রভাব খাটিয়ে তিনি এই কমপ্লেক্সেই ঘুরে আসেন। তার মতই ইসিজি ও আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিন (কনসালটেন্ট) অপারেটরাও জড়িয়ে আছেন কিনা সেটা দেখভালের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগিরা।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছক হুজুরীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য বলেন, বর্তমানের চেয়ে ডা. রিজাউল করিমের সময়ে অন্যান্য ডাক্তার ও কর্মচারিরা ভাল কাজ করেছেন। বর্তমান সময়ে এই কমপ্লেক্সে সঠিক সময়ে উপস্থিত ও শৃংখলার অভাব দেখা দিয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে জানা যায়, ৫০ শয্যায় নতুন ভবন চালু করা হলেও রুগিদের সেবায় পুরোটা এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি। রোগীদের সেবায় সরকারিভাবে যে ওষুধ আসে তা আগের তুলনায় অনেক বেশি, তবে রোগীদের শতভাগ চাহিদা পূরণ সম্ভব হয় না। লোকবল ও নতুন ভবনের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ বরাদ্দ প্রদান করা হলে রুগিদের শতভাগ সেবা প্রদান নিশ্চিত করা যাবে বলে জানানো হয়।

গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে অ্যাস্বুলেন্স ব্যবহার ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা রাবেয়া বসরি বলেন, তিনি সিভিল সার্জন অফিসে ব্যস্ত আছেন।  সূত্র: পদ্মা টাইমস।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *