প্রাণনাশের হুমকির মামলায় পুঠিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতির পর সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার

রাজশাহী লীড

পুঠিয়া প্রতিনিধি : রাজশাহীর পুঠিয়ায় চাঞ্চল্যকর শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম হত্যা মামলার বাদী মেয়ে নিগার সুলতানাকে প্রাণনাশের হুমকি দিলে তিনি ১৩ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলায় জামিন নিতে গিয়ে গ্রেফতার হন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুর রহমান মিঠু। তার আটক হওয়ার ৬দিন পর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, গত ১৭ ডিসেম্বর নিহত শ্রমিক নেতার মেয়ে নিগার সুলতানা বাদী হয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। পরের দিন ১৮ ডিসেম্বর আদালতের মাধ্যমে তালিকাভূক্ত আসামীরা ওই মামলায় জামিন নেয়।

তবে আদালত মিঠুকে জামিন না দিয়ে আটক রাখেন। আর গতরাতে (২২ ডিসেম্বর) ডিবি ও থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করেছেন। তাকে আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।

আটককৃত ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুর রহমান উপজেলার কানাইপাড়া গ্রামের হাসান কবিরাজের ছেলে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মচারী আবুল কালামের ছেলে।

থানার মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ ডিসেম্বর শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম হত্যার বিচার চেয়ে তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে পোষ্টার সাঁটাছিলেন। ওই সাঁটানো পোষ্টার ছিড়ে ফেলেন মামলায় অভিযুক্ত ব্যাক্তি ও তার অনুসারীরা। সে সময় ওই পোষ্টার লাগালে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়।

এতে নিহতের মেয়ে নিগার সুলতানা বাদী হয়ে সাবেক জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদ, সাবেক উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক, শ্রমিক নেতা আব্দুর রহমান পটল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুর রহমান মিঠু, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমসহ ১৩ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, গত ১০ জুন রাতে নিখোঁজ হন রাজশাহী জেলা সড়ক পরবিহন ও শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম। পরের দিন ১১ জুন সকালে কাঁঠালবাড়ীয়া গ্রামের ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে এসএসএ ইটভাটা থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন থানা পুলিশ। এরপর থানার পাশাপাশি ডিবি পুলিশ ওই মামলাটি তদন্ত করেছেন। বর্তমানে পুলিশ ইনভেস্টিগেশন (পিআইবি) মামলাটি তদন্ত করছেন।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *