দিনে কম রাতে বেশি কুকুরের জ্বালায় অতিষ্ঠ নগরবাসী

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী নগরীতে কুকুরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ নগরবাসী। বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রবে বিশেষ করে রাতে পথচারীদের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। সহসাই তেড়ে আসে পথচারীকে লক্ষ্য করে। ভীত-সন্ত্রস্ত হয় পথচারী। বেপরোয়া কুকুর নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই কোনো কর্মসূচি।

নগরীর সর্বত্রই কুকুরের উপদ্রব। এক সময় রাসিক প্রতিবছর নিয়ম করে কুকুর নিধন করতো। কিন্তু হাইকোর্টের একটি রায়ের প্রেক্ষিতে কুকুর নিধন বন্ধ হয়। এর পরিবর্তে কুকুর নিবীর্যকরণ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়। বর্তমানে সেটিও বন্ধ রয়েছে।

ফলে কুকুরের প্রজনন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রয়েছে। কুকুরের সংখ্যাও আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে জলাতঙ্ক রোগের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাবিনা নাজনিন জানান,আমাদের ওয়ার্ডে অতিরিক্ত কুকুর রয়েছে। সকালে বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে যায়। কোনো দিন রিকশা না পেলে হেঁটে বাজার পর্যন্ত যাওয়া দায় হয়ে পড়ে। রাস্তার যেখানে সেখানে কুকুরের মলমূত্র, রাতে এদের চিৎকারে ঘুমানোও কষ্টকর। ছেলেকে নিয়ে ভয়ে থাকি, বাসা থেকে বের হয়ে না জানি তাকে কুকুর কামড়ায়। শুধু সাবিনা নাজনিন নয় এরকম সমস্যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

এ ব্যাপারে রাসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন ডলার জানান, প্রায় আট-নয় বছর ধরে হাইকোর্টের নির্দেশে কুকুর নিধন বন্ধ রয়েছে। চার-পাঁচ বছর আগে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কুকুরের বন্ধত্বের ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়েছিলো। তবে এখন সে ব্যবস্থা নেই।

সিটি করপোরেশনের উদ্যোগের প্রশ্নে মামুন জানান, এ ব্যাপারে এখন আমি কিছু বলতে পারবো না। এই বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে কথা বলেন। তাদের সাথে যোগাযোগ করেন বলে তিনি ফোন কেটে দেন।

পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহীর উপ-পরিচালক মামুনুর রশিদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। রাসিকের সাথে যোগাযোগ করেন, এটা তাদের বিষয়’।

রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. এএফএম আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, ‘এখন ব্যস্ত আছি, কিছু বলতে পারবো না। সূত্র: সাহেব বাজার।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *