রাজশাহীর বাঘার মেয়র ও প্রকৌশলীকে বৃদ্ধাআঙ্গুল দেখিয়ে জোরপুর্বক রাস্তার কাজ করছেন প্রভাবশালী ঠিকাদার!

রাজশাহী লীড

বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘা পৌর এলাকায় মেয়র ও প্রকৌশলীর নিষেধ উপেক্ষ করে জোরপুর্বক রাস্তার কাজ করছেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী ঠিকাদার। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার কারণে রবিবারসকালে ওই কাজ করতে নিষেধ করেন পৌর প্রকৌশলী। তারপরেও চলছে রাস্তার কাজ। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকজন।

জানা গেছে, চলতি ২০১৯/২০ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে বাঘা পৌর এলাকায় শহর উন্নয়ন অবকাঠামো খাতে উপজেলার সদরে অবস্থিত লাকী সিনেমা হলের পেছন দিয়ে-নারায়নপুর বাজারে যাওয়ার জন্য ১০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ১৯৫ মিটার দৈর্ঘ্যর একটি রাস্তার কাজ পান আব্দুল কুদ্দুস নামে এক ঠিকাদার।

স্থানীয় যুবক রনি আহাম্মেদসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, রবিবার সকালে পৌর কর্তৃপক্ষের লোকবল ছাড়াই ঠিকাদারের লোকজন কম সংখ্যক সিমেন্ট, নিম্নমানের বালু ও পঁচা ইটের খোয়া ব্যবহার করে রাস্তার কাজ শুরু করেন। এমতাবস্থায় তারা পৌর মেয়র আব্দুর রাজ্জাককে বিষয়টি অবগত করেন। এর কিছুক্ষণ পর সেখানে আসেন পৌরসভার প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম। তিনি ঘটনার সত্যতা পান এবং কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে চলে যান। তারপরেও ঠিকাদারের লোকজন প্রভাব খাটিয়ে সেই কাজ অব্যাহত রেখেছেন।

বাঘা পৌরসভার প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘১০ লাখ টাকা বরাদ্দকৃত এই কাজটি মানসম্মত খোয়া ও ডোমার বালু এবং পরিমিত রড-সিমেন্ট দ্বারা প্রথমে ৩ ইঞ্চি (সি.সি) ঢালায় এবং পরে আরও ৩ ইঞ্চি (আর.সি.সি) ঢালাই দিয়ে সম্পন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু সরেজমিন গিয়ে এর বাস্তবতা পাওয়া যায়নি। খোয়া মেশানোর জন্য মেশিন রাখার কথা থাকলেও কোদাল দিয়ে মিশ্রন করছিল কতিপয় লেবার। আর খোয়ার মান ছিল একেবারে নিম্নমুখী। ছিল না ডোমার বালুও। এ জন্য কাজ করতে বারণ করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ঠিকাদার আব্দুল কুদ্দুস সরকার বলেন, আমি বাঘা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর। কিভাবে কাজ করতে হয় সেটা আমি জানি। আমার চেয়েও নিম্নমানের কাজ পাকুড়িয়া এবং নারায়নপুর হলদার পাড়ায় সম্পন্ন হয়েছে। তখন কোনও বাধা দেয়া হয়নি। বর্তমান মেয়র আব্দুর রাজ্জাক হাট-বাজার ইজারার টাকা হরিলুট এবং বাঘা বাজারে নির্মিত পৌর মার্কেটের টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে ব্যাক্তিগতভাবে খরচ করা-সহ এডিপি প্রকেল্পর টাকা দিয়ে কোন টেন্ডার না দেওয়ায় সম্প্রতি এর প্রতিবাদ করি। এ জন্য তিনি আমার কাজে বাধা সৃষ্টি করছেন।’

তবে পৌর মেয়র আব্দুর রাজ্জাক তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, ‘এ পৌরসভায় নিয়মের বাইরে কোনও কাজ হয়নি। যেটি হচ্ছে, সেটি দলের প্রভাব খাটিয়ে করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কৃদ্দুস সরকার। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র: সাহেব বাজার।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *