স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মহানগরীর একজন মোস্ট ওয়ান্টেড চিহ্নিত মাদক সম্রাটকে ধরে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। আরএমপির মতিহার থানার দুই এএসআই ও দুই কনস্টেবল শনিবার রাতে মতিহার থানার ডাঁশমারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
শনিবার সকাল থেকেই ঘটনাটি এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানাজানি হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যরা সারাদিন নিজেদের মোবাইল ফোন বন্ধ রাখেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী কুখ্যাত মাদক সম্রাট পালা (৩৫) মাদক বিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে গা-ঢাকা দিয়েছিল। শনিবার সন্ধ্যার পর অতি গোপনে সে তার ডাঁশমারীর বাড়িতে যায়। সে পরিবারের সঙ্গে অবস্থান করছিল।
রাত আনুমানিক ৯টার দিকে মতিহার থানা এএসআই হাবিব ও এএসআই হিরুর নেতৃত্বে দুই কনস্টেবলসহ সাদা পোশাকের চার পুলিশ সদস্য গোপন সংবাদ পেয়ে ডাঁশমারীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাদক সম্রাট পালাকে আটক করে। কিছুক্ষণ পর তারা পালাকে মোটরসাইকেলের মাঝখানে বসিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পড়ে কনস্টেবল জালালের মধ্যস্থতায় মোটা টাকার বিনিময়ে পালাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায় বলে
এলাকাবাসীর অভিযোগ। ছাড়া পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী পালা অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়। এরপর থেকে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পালাকে আটকে বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করেছেন।
এলাকাবাসী জানায়, গত বছর ১ অক্টোবর রাতে পালা ও তার ভাই আলমগীর হোসেন আলোর নেতৃত্বে মাদক ব্যবসায়ীরা ডিবি পুলিশের একজন পরিদর্শকসহ চার পুলিশকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ
ই ঘটনায় পুলিশ আলো ও পালাসহ ২৫ জন মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মতিহার থানায় মামলা করে। এদিকে এই ঘটনার পর ৭ অক্টোবর আলমগীর হোসেন আলো পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। এ ঘটনার পর থেকে পালা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
পালার বিরুদ্ধে মতিহার থানাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় মাদকের বেশ কিছু মামলা রয়েছে বলে মতিহার থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে এএসআই হাবিবের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে এএসআই হিরুর মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এই ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে মতিহার থানার ওসি মাসুদ পারভেজ বলেন, তিনি এ ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানেন না। কেউ তার কাছে অভিযোগ করেনি। সূত্র: যুগান্তর।
স্ব.বা/শা