গোদাগাড়ীতে প্রেমিকের বাড়ীতে প্রেমিকার অনশন

রাজশাহী লীড

গোদাগাড়ী প্রতিনিধি: দীর্ঘ চার বছর প্রেমের সম্পর্ক জড়িয়ে প্রেমিকের টালবাহানা বুঝতে পেরে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে প্রেমিকের বাড়ীতে বুধবার সকাল হতেই অনশন অব্যহত রেখেছে প্রেমিকা ইসমোতারা। এমন ঘটান ঘটেছে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ফরহাদপুর গ্রামে। এই নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে সেই বাড়ীতে লোকজনের অনেক ভীড়ও হচ্ছে।

উপজেলার কালিদিঘি গ্রামের এন্তাজ আলীর মেয়ে ইসমোতারা রাজশাহী নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজে পদার্থ বিজ্ঞানের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী আর ছেলে উপজেলার ফরহাদপুর গ্রামের মৃত. ইমদাদুল হকের ছেলে খায়রুল ইসলাম। তারা একই কলেজের সহপাঠি।

অনশনরত প্রেমিকা ইসতোতারা বলছেন, চার বছর হতে আমাদের দুজনের প্রেমের সম্পর্ক গড়িয়েছে। বিয়ের আশ্বাসে দুজনের মধ্যে শারিরিক সম্পর্কও গড়ে উঠে। কিন্তু বিয়ের কথা বললেই মাঝে মধ্যেই প্রেমিক খাইরুল টাল বাহানা শুরু করে। এই নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বও হয়। এক সময় ছেলের মা ও মামাকে সম্পর্কের বিষয়টি জানালে মিটমাট করিয়ে দেয়। পরে আবার সম্পর্ক চলতে থাকে। এরপরও তাকে আবার বিয়ের চাপ দিলে বিয়ে করবো কি হবে কি প্রমাণ আছে মোবাইলে যা ছিলো তা তো ডিলেট করে দিয়েছিস এই বলে প্রতারণার সুযোগ নেয়।

এই যখন অবস্থা তখন কোন দিক না পেয়ে ইসমোতারা বুধবার সকাল ১০ টা হতে প্রেমিকের ঘরে আসে। এক সময় তারা দুজনেই ঘরের মধ্যেই ছিলো কিন্ত ছেলের মা জানতে পেরে তাকে কৌশলে ঘর হতে বের করে দেয় আর মোবাইল বন্ধ করে দেয়।

পরে প্রেমিক খাইরুলের মা ও ভাই তাকে চুল ধরে কিল ঘুষি মেরে ঘর হতে বের করে দেয়। এলাকাবাসী তা জানতে পেরে ওই বাড়ীর বেলকুনিতে অবস্থান নেন। বিয়ের স্কীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত অনশন অব্যহত রাখবে বলে প্রেমিকা ইসমোতারা সাংবাদিকদের জানান।

এলাকাবাসী জানান, ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক আছে বলেই মেয়েটি এভাবে এসেছে আমরা চাই তাদের দুজনের ঘরসংসার হোক।

স্থানীয় মাটিকাটা ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের সদস্য নারগিস বেগম বলেন, মেয়েটির প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে তার একটি ব্যবস্থা হওয়া দরকার।

এদিকে প্রেমিক খাইরুলের মোবাইল নং বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়। তার বাড়ীর প্রধান গেটটিও ছিলো তালা লাগানো।তবে বাড়ী পেছনে আছে জানতে পেরে যাওয়া হলে পেছন দরজা দিয়ে ছেলের মা খোশবানু পালিয় যায় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে চাইনি।

মাটিকাটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলী আযম তৌহিদ জানান, আমি ছেলে ও মেয়ের বাবা মায়ের সাথে কথা বলেছি এটি মিমাংসা করার কথা বলা হয়েছে।

স্টাফ রিপোর্টার:

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *