কনকনে শীতে ঠাণ্ডা বাতাসে রাজশাহীর জনজীবন বিপর্যস্ত

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: অবিরাম মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে বেড়েছে কনকনে শীত। কনকনে শীতে ঠাণ্ডা বাতাসে বিপর্যস্ত জনজীবন। সকালে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে রাজশাহী। তবে দিনের চেয়ে সন্ধ্যা ও রাতে শীতের তীব্রতা বাড়ছে।

শীতার্ত মানুষকে উষ্ণতার খোঁজে বিভিন্ন খড়-কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা যাচ্ছে। বেশ কয়েকদিন থেকে রাজশাহীর ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে।

আজ সোমবার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গতকাল রোববার ছিলো ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইদিনে এছাড়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি। এদিন সকালে বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৪ শতাংশ ও সন্ধ্যায় ছিলো ৫১ শতাংশ।

শীতের তীব্রতায় রাজশাহী অঞ্চলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মজীবী মধ্য-নিম্নআয়ের মানুষ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে হচ্ছে তাদের। প্রতিদিন সন্ধ্যার নামার পর ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বেশিরভাগ দোকানপাট ও হাট-বাজার। গ্রামগুলোতে শীতের প্রকোপ আরও বেশি।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক ফেরদৌস আলম বলেন, রাজশাহীর উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। তবে দিনের থেকে রাতের দিকে তাপমাপা বেশি কমছে। তাই বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে।

অন্যদিকে, শীতের কারণে বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগির সংখ্যা। ঠাণ্ডাজনিত রোগে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে বেশি রোগি ভর্তি হচ্ছেন। বিশেষ করে নবজাতক শিশু এবং বয়স্ক মানুষ বিভিন্ন রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।

রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম ফেরদৌস জানান, তীব্র শীতের ফলে অনেক নবজাতক নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এছাড়া হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোরে শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, কোল্ড ডায়রিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসছেন।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *