বাগাতিপাড়ায় বাল্যবিবাহ দেয়ায় পিতার অর্থদন্ড করলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত

রাজশাহী লীড

বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধিঃ নাটোরের বাগাতিপাড়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা দেবী পালের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষ পেলো জেসমিন খাতুন নামে নবম শ্রেণীর ছাত্রী। শুক্রবার বিকালে উপজেলার জামনগর ঘোষপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জামনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী জেসমিন খাতুনের জন্মনিবন্ধন জালিয়াতির মাধ্যমে বয়স বাড়িয়ে বিয়ে ঠিক করেন তার বাবা আব্দুল খালেক। বিয়ে ঠিক হয় একই উপজেলার গাওপাড়া গ্রামে।

শুক্রবার রান্না-বান্নাসহ বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়। বরযাত্রীরা বিয়ে বাড়ি হাজির হয়।

কিন্তু বাল্যবিয়ের সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা দেবী পাল মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা খাতুনকে সাথে নিয়ে জামনগর কনের বাড়িতে গিয়ে হাজির হন। সেখানে জন্মনিবন্ধন জালিয়াতি করে বয়স বাড়ানোর বিষয়টি ধরা পড়লে জেসমিন খাতুনের বিয়ে বন্ধ করে দেন ইউএনও।

এবং ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ইউএনও প্রিয়াঙ্কা দেবী পালের আদালত জালিয়াতি করে স্কুল পড়ুয়া মেয়ের বিয়ে দেয়ার চেষ্টায় কনের বাবাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদন্ডাদেশ দেন। পরে ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হলে দন্ডিত আব্দুল খালেককে ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *