মোহনপুর প্রতিনিধি : রাজশাহীর মোহনপুরে স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার সময় স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অপরাধে ছয়-ছাত্রলীগ নেতাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ। স্কুলছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতে মোহনপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। শুক্রবার আসামিদেক জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মোহনপুর উপজেলার বৃ-হাটরা গ্রামের জনৈক ব্যক্তির মেয়ে বড়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী (১৫) স্কুল ছুটি পর বাড়ি ফিরছিলেন। বিদ্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগ নেতা হোসাইন (২০) স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করে ছাত্রলীগ নেতা হোসাইনকে আটক করে মোহনপুর থানা পুলিশকে খবর দেন।
ছাত্রলীগে নেতা হোসাইনকে আটকের খবর শুনে তাকে রক্ষা করার জন্য ছুটে যান উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রানা হোসেন (২৫), রায়ঘাটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুজ্জামান মিঠু (২৪), ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান (১৯), শাফিউল রহমান (২৪), আরাফাত রহমান নাহিদ (২০) ও হারুন অর রশিদ (৪৫) নামের এক ব্যক্তি।
তারা ঘটনাস্থলে এসেই উত্ত্যক্তকারী ছাত্রলীগ নেতা হোসাইনকে নিয়ে যাওয়া চেষ্টা করে। ওই বড়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় নিষেধ করলে ছাত্রলীগ নেতা উত্তেজিত হয়ে উঠে। খরব পেয়ে মোহনপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে ছাত্রলীগ নেতারা বলেন হোসাইনের বিচার আমরা নিজেরাই করার কথা বলে হোসাইনকে পুলিশকে জানান। ওই পুলিশ ছাত্রলীগ হোসাইনকে থানার পিআপ ভ্যানে তোলার সময় ছাত্রলীগ নেতারা বাধা সৃষ্টি করে।
মোহনপুর থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জানান, স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করায় উপজেলার আত্রাই গ্রামের আনছার আলীর ছেলে ছাত্রলীগ নেতা হোসাইনকে ও সহযোগিতা করার অপরাধে উপজেলার লালইচ গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রানা হোসেন, ফরিদপুর হাটরা গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান ওসমান আলীর ছেলে রায়ঘাটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুজ্জামান মিঠু, লালইচ গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান, কামারপাড়া টাঙ্গন গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা শাফিউল রহমান, হাটরা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা আরাফাত রহমান নাহিদ ও বড়াইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে হারুন অর রশিদকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্ব.বা/শা