স্টাফ রিপোর্টার: নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ড (পূর্ব) যুবলীগের সভাপতি আসাদ আলীর বিরুদ্ধে গত শনিবার ২৫ জানুয়ারি সকাল ১১ টায় মেহেরচন্ডি দায়রাপাক এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদ উদ্দিন এবং তার সন্তান নাহিন ইসলামের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনা জানার পর রবিবার রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি রমজান আলী তাকে দেখতে রামেক হাসপাতালে যান। এ সময় তিনি আহত মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারকে আশ্বস্ত করেন অভিযুক্তকে কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। এ ধরনের ঘটনা মহানগর যুবলীগ কোন ভাবেই পশ্রয় দিবে না। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে মহানগর যুবলীগের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সোমবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে বিষয়টির প্রকৃত ঘটনা তদন্তে আমিনুর রহমান খান রুবেলকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন মনিরুজ্জামান খান মনির, মুকুল শেখ, মামুনুর রশীদ মাহাবুব ও শামীম মন্ডল। এই কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবারের এই ঘটনার পর অভিযুক্ত আসাদ আলী ও তার ভাতিজা রাসেলের বিরুদ্ধে চন্দ্রিমা থানায় হত্যা প্রচেষ্টা মামলাসহ চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত দুজন গাঢাকা দিয়ে আছে। দুই দিন পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট থানা কর্তৃপক্ষ।
স্ব.বা/বা