স্টাফ রিপোর্টার: ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপনের জন্য জেলা প্রশাসকের অনুমোদন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা না থাকায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন এলাকায় ১ ইট ভাটা বন্ধ, মামলা দায়েরসহ আড়াই লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
শনিবার স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট (পরিবেশ) এ অভিযানে রাজশাহী মেট্রোপলিটন এলাকার পবা ও চন্দ্রিমা থানাধিন ৬ টি ইট ভাটায় অভিযান চালানো হয়। অভিযান পরিচালনা করেন বিজ্ঞ স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট(পরিবেশ) ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো: মাহবুবুর রহমান।
পরিবেশ ছাড়পত্র ও লাইসেন্স বিহীন জনবহুল ও নিষিদ্ধ এলাকায় ইটভাটা নির্মান করায় চন্দ্রিমা থানাধিন মেসার্স এমআরকে, মেসার্স এমআরকে-১, মেসার্স এমএসএ, মেসার্স বাংলা, মেসার্স এএন্ডএইচ ইট ভাটার মালিককে আটক করা হয়। এর পর দোষ স্বীকার করায় উক্ত আটককৃত ব্যক্তিদেরকে স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট এর মাধ্যমে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন(নিয়ন্ত্রন আইন)-২০১৩ সংশোধন-২০১৯ এর ৪ ও ৮ ধারায় দোষি সাব্যস্ত্য করে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে ৩ মাস সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। অর্থ দন্ডের টাকা পরিশোধ করায় তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। আদায়কৃত অর্থদন্ডের টাকা অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রিয় কোষাগারে চালানমূলে জমা করার নির্দেশ প্রদান করেন এই আদালত।
এ ছাড়াও রাজশাহী মেট্রোপলিটন এরিয়ার পবা থানাধিন মেসার্স এমএম ব্রিকস্ এর স্বত্বাধিকারী মো: মনিরুজ্জামান এর বিরুদ্ধে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন(নিয়ন্ত্রন আইন)-২০১৩ সংশোধন-২০১৯ এর ৪, ৬ ও ৮ ধারা লংঘনের অপরাধ আমলে নিয়ে সমন ইস্যু করেন। পাশাপাশি উক্ত ইট ভাটার কার্যক্রম আদালতের পরবর্তি নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করেন এ আদালত।
স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট (পরিবেশ) এর অভিযান পরিচালনা কালে প্রসিকিউটারের দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহী জেলা কার্য্যালয়ের পরিদর্শক মো: আজহারুল ইসলাম। এ সময় র্যাব-৫ এর ডিএডি শহিদুল ইসলাম, এসআই জয়দেব বসু, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহীর অয়্যার হাউস ইন্সপেক্টর ফারুক আহমেদ, পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: রেজাউল হাসান, চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুম মনিরসহ সঙ্গীয় ফোর্স উক্ত স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট পরিচালনায় সহায়তা করেন।
স্ব.বা/শা
