বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা আর রাসিক মেয়র লিটনের নেতৃত্ব মেনেই আজ আমি আ’লীগ নেতা হয়েছি: ডাবলু সরকার

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার বলেছেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে লালন করে, তারই সুযোগ্য কণ্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে এবং রাসিক মেয়র লিটনের নেতৃত্বে উজ্জবিত হয়ে সেগুলো স্মরণে রেখে দায়িত্ব পালন করেই আজ আমি আওয়ামী লীগ নেতা বা একজন সফল সংগঠক হয়েছি।

ডাবলু সরকারের আজকের এই অবস্থান হঠাৎ করে হয়নি। তৃণমূলের একজন কর্মী থেকে আজ রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

তিলে তিলে দলের সকল আন্দোলন, লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নিজেকে বিকশিত করে গড়ে তুলেছি। আর সেই কারনে পেয়েছি সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী সমর্থকদের অকৃত্রিম স্নেহ-ভালবাসা-সম্মান।

আ’লীগ নেতা-কর্মীরা জানান, একজন ডাবলু সরকার একদিনে তৈরি হয়নি। তৃণমূলে একজন কর্মী হিসাবে রাজনীতি শুরু করে তিনি রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। তিনি একজন সফল সংগঠক। বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত রাজশাহীতে ডাবলু সরকারের মতো তরুণ সাহসী নেতৃত্ব দরকার।

তৃণমূল নেতারা তার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল। তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বিএনপি-জামায়াত জোট দুঃশাসনের সময় শক্ত হাতে বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেণ।  তিনি  লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নিজের নেতৃত্ব গড়ে তুলেছেন।

ডাবলু সরকার ৮০’র দশকে রাজশাহী নগরীর সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বি.বি. হিন্দু একাডেমি থেকে ছাত্র রাজনীতির হাতেখড়ি। তার পরিবারের সকল সদস্যই এই প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের শিক্ষাজীবন শুরু করেন এবং অন্যান্য সদস্যরাও মহানগরের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

নেতা-কর্মীরা আরও জানান, গত ৬ বছরে মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড কমিটিগুলোতে ডাবলু সরকার নিজস্ব একটি বলয় তৈরি করে ফেলেছেন। দিন কিংবা রাত, একেবারে সাধারণ কর্মীরা ডাকলেও তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দিয়ে ছুটে যান, বিপদ-আপদে পাশে দাঁড়ান।

তাই তাকে ছাড়া অন্য কাউকে আসন্ন সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে চিন্তা-ভাবনা করছেন না তৃণমূল।

ডাবলু সরকার জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম. কামারুজ্জামান হেনার সুযোগ্য পুত্র এ.এইচ.এম. খায়রুজ্জামান লিটনের নজরে আসেন ডাবলু সরকার। এরপর থেকে তার রাজনিতক জীবনে যোগ হয় ভিন্ন মাত্রা।

খায়রুজ্জামান লিটনের অকৃত্রিম স্নেহ-ভালবাসায় ডাবলু সরকার রাজনীতিতে দলের সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে অল্প সময়ে নিজেকে একজন সফল ছাত্রনেতা হিসেবে তুলে ধরেন। ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির পথচলায় শুরুতে ডাবলু সরকার পরবর্তীতে রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য, রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য, প্রচার সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে তার সাংগঠনিক দায়িত্বের নজির স্থাপন করেন।

ছাত্রলীগের রাজনীতি শেষ করে ডাবলু সরকার প্রথমে মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত হন। ওই সময়ে তিনি রাজশাহী মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক ভীত মজবুত করার লক্ষ্যে তাকে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিলে স্বেচ্ছাসেবক লীগকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী অবস্থানে দাঁড় করান।

এরপর ২০১৪ সালের ২৫ অক্টোবর রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে নেতা-কর্মী ও কাউন্সিলরদের অকুন্ঠ সমর্থনে সাধারণ সম্পাদক পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তার রাজনৈতিক অভিভাবক এ. এইচ. এম খায়রুজ্জামান লিটনের নির্দেশনায় মহানগর আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।

এই কারণে তৃণমূলের কর্মী থেকে শুরু করে রাজশাহীর জনসাধারণের কাছে তরুণ নেতা হিসাবে ইতোমধ্যে আস্থা অর্জন করেছেন ডাবলু সরকার। তাই তাকে ছাড়া অন্য কাউকে আসন্ন সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে চিন্তা-ভাবনা করছেন না তৃণমূল।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *