বাঘা প্রতিনিধি: করোনাভাইরাসের কারণে বাড়ির বাইরে যেতে মানা করে দিয়েছেন। তাই কাম-কাজের সমস্যা। ভয়ের মধ্যে কাজ করা যায় না। কেউ কইতেও পারছেনা আবার কেউ সইতেও পারছেনা। কিন্তু অনেকের ঘরে খাবার নাই।’ খোঁজ খবর নিয়ে এসব পরিবারের মাঝে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বাড়িতে বাড়িতে। চলমান খাদ্য সহায়তার অংশ হিসেবে বাঘার বলিহার গুচ্ছগ্রাম ও নূরনগর আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত পরিবারের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন,উপজেলা নির্বাহি অফিসার শাহিন রেজা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) আলপনা ইয়াসমিন। বাঘা ও আড়ানি পৌরসভাসহ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগেও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অনেকই। সাবেক পৌর মেয়র আক্কাছ আলী,প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু, উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মিলটন জানান,তাদের সাধ্যমতো এলাকার দরিদ্রজনগোষ্ঠির মাঝে খাদ্য সামগ্রী সহ অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন।
শুক্রবার (০৩-০৪-২০২০) করোনা পরিস্থিতির খবর জানতে গিয়ে নিজেদের দুঃসময়ের কথা তুলে ধরেন দরিদ্র পরিবারের লোকজন। খাদ্য সহায়তা পেয়ে তাদের চোখেমুখে ফুটে ওঠে খুশির ঝিলিক। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,লজ্জাবোধ করায় বোরকা ও হিজাব পরে সহায়তা নিচ্ছেন কেউ কেউ। পান চাল, ময়দা,ডাল, আলু, পেঁয়াজ, সাবান ও মাস্ক।
সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) আলপনা ইয়াসমিন বলেন,বাড়িতে খাদ্য বিতরণের সময় পুরুষ ও নারিদের সচেতন করা হচ্ছে, বাইরে যাবার আগে ও বাইরে থেকে এসে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে এবং মুখে ব্যবহৃত মাক্স প্রতিদিন পরিষ্কার করাসহ অপ্রয়োজনে কেউ যেন বাইরে ঘোরাফেরা, সন্ধ্যার পর আড্ডা না দেয়। দিনের মধ্যেই প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সেরে ফেলার জন্য সজাগ করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন রেজা জানান, যারা কর্মহীন হয়ে পড়েছে, তারা কেউ অভুক্ত না থাকে সেজন্য প্রতিদিন এলাকায় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। এর পাশাপশি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারম্যানদ্বয়কে সকলের খোঁজ খবর রাখতে বলেছেন। ভয়ংকর এ ভাইরাস থেকে এলাকাবাসিকে সুরক্ষিত রাখার জন্য কাজ করছেন, সেনাবাহিনী, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধি , কর্মকর্তা ও সমাজের সচেতন মহল।
স্ব.বা/বা