পাবনা প্রতিনিধি: করোনাভাইরাস সন্দেহভাজন এক রোগী পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়া রোগীর নাম মোস্তাক আল মামুন (২৫)। তার বাড়ি দিনাজপুর জেলার হালিশপুর থানার হাকিমপুর গ্রামে।
জানা যায়, গত ৫ এপ্রিল ওই রোগী জ্বর, সর্দি-কাশি ও মাথাব্যথা নিয়ে পাবনা বেড়া উপজেলার কাশীনাথপুর এলাকার দিঘলকান্দি গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে যান। শ্বশুর বাড়ির স্বজনেরা তার এই লক্ষণ দেখে পুলিশকে জানিয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
গত মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) রাতে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে পালিয়ে যান ওই রোগী। বুধবার রাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
পাবনা জেলারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আবুল হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুরে জানান, ওই রোগীর প্রাথমিক লক্ষণ করোনা সন্দেহ করে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করা হয়। ওই রোগী চিকিৎসাসেবা নেয়ার দু’দিন পরে গত মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে পালিয়ে যান।
তিনি জানান, নিয়ম মাফিক ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করে (৮ এপ্রিল) ওই রোগীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পাবনা সদর থানাতে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ওই রোগীর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহীতে পাঠানো হয়েছে। তবে তার ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহম্মেদ বলেন, এই ঘটনায় পাবনা জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সদর থানাতে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। পালিয়ে যাওয়া রোগীর তথ্য ও ঠিকানা অনুযায়ী তাকে উদ্ধারের জন বিভিন্ন স্থানে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।
পাবনায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ মেহেদী ইকবাল জানান, চলতি মাসে এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন মোট ৪১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ জনের পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেছে। তাদেরা মধ্যে কেউ করোনাভাইরাস রোগে আক্রান্ত হয়নি। আরো ২২ জনের ফলাফল এখনো আসেনি।
ওই পালিয়ে যাওয়া রোগীর নমুনা রাজশাহীতে পাঠানো হয়েছে। তার ফলাফল এখনো আমরা পাইনি। এখন পর্যন্ত পাবনাতে করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়নি। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।
স্ব.বা/শা
