ভাইরাসেই মারা গেছে রামেকে চিকিৎসাধীন নাটোরের ছাত্র

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের অধীনে করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কলেজছাত্রের মৃত্যু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে সেটি করোনাভাইরাস নয়। করোনা পরীক্ষায় তার নমুনার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। রামেক হাসপাতালে রবিবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান করোনা চিকিৎসক টিমের প্রধান ডা. আজিজুল হক আযাদ।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি ওই কলেজছাত্রকে সংক্রমক ব্যাধি (আইডি) হাসপাতালে স্থাপিত করোনা ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিনি মারা যান। এরপর তার নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা করা হয়। ওই ছাত্রের নাম মুনীর গাজী (১৯)। তিনি নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর গ্রামের আলম গাজীর ছেলে। মুনীর মাধনগর ডিগ্রি কলেজের এইচএসসির ছাত্র ছিল। শুক্রবার দুপুরে তিনি রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে ডা. আযাদ বলেন, জ্বরের পরে র‌্যাশ (বসন্ত) ছিল। র‌্যাশের কারণে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। জ্বরের পর র‌্যাশ আসলে ভাইরাস চিন্তা করি। এছাড়াও তার হামের টিকা দেওয়া ছিল কিনা তা জানা যায়নি। হামও ভাইরাস। সেখান থেকেও ব্রেনে ইনফেকশন হয়। ভাইরাস জনিত রোগেই তার মৃত্যু হয়েছে; এটা আমরা নিশ্চিত।

প্রথমে দেখেই আমরা ভাইরাসে আক্রান্ত বলেছিলাম। কিন্তু কোন ভাইরাসে তার মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ সব ভাইরাসের পরীক্ষা তার করা হয়নি। মৃত্যুুর পর সময়মত তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয় বলে জানান এই চিকিৎসক।

ডা. আজাদ আরও জানান, সংক্রমক ব্যাধি হাসপাতালে একজন নার্সসহ যে পাঁচজন রোগী ভর্তি ছিল তাদের সবার করোনা পরীক্ষা নেগেটিভ এসেছে। তারা সবাই সুস্থ আছেন। এছাড়াও পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ডে তিনজন নারী ও একজন পুরুষ রোগী ভর্তি আছেন। তারাও সুস্থ আছেন। তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে পরীক্ষায় নেগেটিভ আসলেও ছেড়ে দেওয়ার পর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হয়। কারণ পরবর্তীতে তার আর কোন উপসর্গ দেখা দেয় কিনা।

তিনি বলেন, নতুন করে জ্বর-সর্দি-কাশিসহ শ্বাসকষ্ট নিয়ে একজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার বাড়ি দুর্গাপুরে। তার বয়স ৪০ বছরের উপরে। রবিবার তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে বলে জানান এই চিকিৎসক। সূত্র: বিডি-প্রতিদিন।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *