স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে । এরই মধ্যে মোহনপুর উপজেলায় ০৩ জন সহ জেলায় এ পর্যন্ত ১৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ খবরে জনমনে আতঙ্ক বাড়ছে। এ অবস্থায় রাজশাহী জেলা ডিবি ও মোহনপুর থানা পুলিশের সঙ্গীয় ফোর্সসহ করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে প্রখর রোদে পিচঢালা সড়কে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখতে আন্তরিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন রাজশাহী জেলা পুলিশ । আজ বুধবার উপজেলার সর্বত্রই চলছে সচেতনতামুলক মাইকিং, নিয়মিত মনিটরিং করতে দেখা গেছে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়ক। ঢাকা,নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যেনো রাজশাহীতে প্রবেশ না করতে পারে সেজন্য এ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে বলে জানায় রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব।
উপজেলার উল্লেখযোগ্য কেশরহাট, মৌগাছি হাটসহ গ্রামাঞ্চলের সার, কীটনাশক, মুদি, ঔষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া সকল প্রকার দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও যেখানে সেখানে মানুষের জটলা ভাঙতে কাজ করছেন পুলিশ। এতো কিছুর পরেও জনসাধারণের মধ্যে অনেকে সচেতনতা মানছেন না। 
রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব বলেন, মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদে রাখতে পুলিশ সদস্যরা সবসময় ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। রাজশাহী মোহনপুর উপজেলাবাসীকে নিরাপদ রাখতে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। রাজশাহী শহরে প্রবেশ রোধে সামাজিক দ্রুরুত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে প্রয়োজন ছাড়া রাজশাহী শহরে কোনো যানবাহন ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। এছাড়া মোটরসাইকেলে একজনের বেশি না, এছাড়া মোটরসাইকেল থামিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে যারা জরুরি কাজে অফিসে যাচ্ছে শুধুমাত্র তাদেরকেই আমরা ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এই যেমন- ব্যাংকার, ডাক্তার, নার্স, পুলিশ ও মিডিয়াকর্মী। এছাড়াও পুলিশ সদস্যরা নিয়মিত টহলে রয়েছেন।
মোহনপুর উপজেলা নির্বাহি অফিসার সানওয়ার হোসেন জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এবং জনস্বার্থে প্রচার মাইকিং চলছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সকলকে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে। তিনি আরো জানান নির্দেশনা ভঙ্গকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। সকলকে সতর্ক থাকার অনুরোধও জানান তিনি।
স্ব.বা/বা
