বাঘা প্রতিনিধি: করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি রোধে ‘লকডাউনে’ গোটা দেশ। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন। স্থবির হয়ে পড়েছে ব্যবসা বাণিজ্যে। অপ্রয়োজনে চলাফেরা ও সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে ক্রয় বিক্রয়ে মাইকিং করা হয় প্রতিদিন। সরকারের পক্ষ থেকে বিধিনিষেধ মেনে সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা মানছেনা অনেকেই। ছুটছে এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায়। গাদাগাদি ভিড়ের চাপে ব্যাংক।
রোববার (০৩-০৫-২০২০) দেখা গেছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ না মেনে,সোনালী ব্যাংক বাঘা শাখার মূল ফটকে মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরকালিন ভাতাভুগীদের ভিড়। মুক্তিযোদ্ধাদের ঈদবোনাস সহ সন্মানী ভাতার টাকা তুলতে এসে গাদাগাদি ভিড় সৃষ্টি হয় সোনালী ব্যাংক বাঘা শাখায়। কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না।
অপরদিকে কোভিড-১৯ ভাইরাসে একাধিক আক্রান্ত এলাকা নাটোরের সিংড়া থেকে এসে বাঘার হাট-বাজারে পিপিইসহ পৃথক মাক্স বিক্রি করছিলেন বহিরাগত মিঠু (৪০)। জিজ্ঞাসায় জানা গেল, তিনি নাটোরের সিংড়া উপজেলার পাঠসিংড়া গ্রামের মান্নান সরকারের ছেলে। তার নাম মিঠু। জীবন জীবিকার তাগিদে নিজ এলাকার বাইরে ফেরি করে বিক্রি করছেন। নাটোরের সিভিল সার্জন ডা.মিজানুর রহমানের সাথে কথা বলে জানা যায়,তার জেলার সিংড়া উপজেলায় ৫জন করোনা সনাক্ত হয়েছে।
করোনার কারণে উপজেলার অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও ঈদবোনাস সহ সন্মানী ভাতার টাকা তুলতে মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরকালিন ভাতাভুগিদের গাদাগাদি ভিড় ছিল সোনালী ব্যাংকে। কিন্তু ভিড় ঠেকাতে অন্যান্য নির্দেশনার মতো এটিও অকার্যকর ছিল সেখানে। এমন দৃশ্য কখনই দেখেননি বলে জানালেন নিরাপত্তারক্ষী সোহেল ও মোমিন। কথায় ঠেকাতে না পেরে অবশেষে পিছু হটে চলে গেল পুলিশ। আলমগীর নামের একজন তার ফেসবুক আইডিতে এমনটাই লিখেছেন।
সোনালী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক গোলাম জাকারিয়া বাবু বলেন, তাদের পক্ষে যতটা সম্ভব করেছেন। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করেছেন। কিন্তু নিজেরা সচেতন না হলে কার কি করার আছে! উপজেলা নির্বাহি অফিসার শাহিন রেজার দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি জানান,ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লোক পাঠাবেন।
স্ব.বা/বা