তানোরে প্রশাসনের নেপথ্যে চলছে পুকুর খননের হিড়িক! 

রাজশাহী
সারোয়ার হোসেন,তানোর: সারাবিশ্ব জুড়ে যখন মহামারী করোনা ভাইরাস আতংকে ঘর বন্দী মানুষ। ঠিক তখনই জোর দেয়া হয়েছে কৃষি জমির উপর পুকুর খননের হিড়িক। আর এইসব অবৈধ পুকুর খননের পিছনে রয়েছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের একশ্রেণীর দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারী বলেও অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, হাইকোর্ট থেকে কৃষি জমির উপর কোন প্রকার পুকুর খননের কাজ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে রাজশাহীর তানোর উপজেলার বিভিন্ন এলাকাজুড়ে চলছেই পুকুর খনন। চলতি মাসের গত, শনিবার ও রবিবার উপজেলার সরনজাই ইউনিয়ন ও পাঁচন্দর ইউনিয়ন সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে এইসব অবৈধ পুকুর খননের চিত্র।
 এছাড়া দেখা গেছে, ট্রলী কাকড়া দিয়ে পুকুরের মাটি বিক্রি করতে গিয়ে নষ্ট করছে সরকারি রাস্তার পরিবেশ। পুকুরের মাটি রাস্তায় পড়ে প্রতিনিয়ত চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে পথচারীদের। একনকি একটু বৃষ্টি হলেই ঘটছে পথচারীদের ছোট বড় দূর্ঘটনা।
অথচ এইসব অবৈধ পুকুর খননের সময় প্রশাসনকে খবর দেয়া হলেও প্রশাসন থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে না। যদিও এলাকাবাসীর চাপের মূখে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় তাও আবার অর্থের বিনিময়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। যার ফলে পুকুর মালিকরা একশ্রেণীর দূর্নীতিবাজ প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে যোগসাজশ করে নাম মাত্র জরিমানা দিয়ে আবারো পুরোদমে খনন করছে পুকুর। সম্প্রীতি, উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া ইউপির কাঁঠাল পাড়া, হাড়দহ বিল,জুড়ান পুর বিল জুড়ে হাজারো একর ফসলী জমির উপর প্রকার্শে খনন করা হয়েছে পুকুর। কিন্তু পুকুর খননের সময় একাধিকবার প্রশাসনকে খবর দেয়া হলেও তেমন কোন ভূমিকা নিয়ে সাড়া দেয়নি প্রশাসন। এতে করে এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে প্রশাসনের দায়িত্ব নিয়ে চরম চাঞ্চল্যকর অবস্থা ও মিশ্রপ্রতিক্রীয়া। যদি প্রশাসনের নেপথ্যে পুকুর খননের কাজ চলতেই থাকে তাহলে মানুষ দেখানো জরিমানা করার দরকার কি? প্রকার্শে পুকুর খননের অনুমোদন দেওয়ায় ভালো বলেও মন্তব্য করেন জনসাধারণ।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও সুশান্ত কুমার মাহতোর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্ব.বা/বা
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *