রাজশাহীর পুঠিয়ায় মাটি কাটার কাজ দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে আত্মসাত

রাজশাহী লীড

পুঠিয়া প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়ায় কাজ দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে আদিবাসী মহিলাসহ ভুক্তভোগীরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে হাজির হয়ে কান্দ্রা আদিবাসী গ্রামের রিনা বিশ্বাস, লক্ষি রানী, সিমা বিশ্বাস এবং কান্দ্রা গ্রামের ভানু, লালভানু, মাহাবুর রহমান এবং উকিল লিখিত অভিযোগ জমা দেন।

জানা গেছে, আদিবাসী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে জুলফিকার আলী ভুট্টু তাদেরকে আরএমপিও নারী মাটি কাটা কাজ দেবে বলে টাকা নিয়ে আর কাজ দেয়নি। রিনা বিশ্বাস ও লক্ষি রানীর নিকট থেকে ১২ হাজার টাকা, সিমা বিশ্বাসের নিকট থেকে ২ হাজার টাকা, ভানুর নিকট থেকে ১৮ শত টাকা এবং লাল ভানুর নিকট থেকে ১৯ শত টাকা নেয় ভুট্টু।

পুঠিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানতে পারলে পরবর্তী সময়ে ভানুর ১৮ শত টাকা এবং লাল ভানুর ১৯ শত টাকা ফেরত দেয়।
পরবর্তীতে কোন প্রকার কাজ দিতে না পারায় বিবাদীকে আজকাল ঘোরাতে থাকে। উক্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে ভর্তি আদিবাসী ওই মহিলাদেরকে ভয়-ভীতি দেখাতে থাকে এবং তাদেরকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে নেয়।

এদের মধ্যে মাহাবুর রহমান ও তার স্ত্রীর নিজ নামীয় জমি জোর পূর্বক ভুট্টু দখল করতে গিয়ে তাদের মারধর করে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাদেরকে পুঠিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে।

এদের মধ্যে উকিল এর শালিশী ১২ হাজার টাকা সভাপতি হিসাবে ভুট্টু জমা রেখে আত্মসাত করে। এবং পরবর্তী সময়ে আর ফেরত দেয়নি।
এ ব্যাপারে রিনা বিশ্বাস, লক্ষি রানী এবং সিমা বিশ্বাস এই তিন জনে পুঠিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

পুঠিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফ খান ঝন্টু জানান, আমার ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আরো শুনেছি ভুট্টু ও তার লোকজন গিয়ে তাদেরকে ভয়ভীতি দেখানো সহ সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছে।

থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম জানান, থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওলিউজ্জামান জানান, অভিযোগের কাগজটি আমার হাতে এসে পৌছাইনি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *