আল-আফতাব খান সুইট, নাটোর: নাটোরের বড়াইগ্রামে ভাতাভোগীর তালিকায় অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও ওয়ার্ড সদস্য’র সহচর সিরাজুল ইসলাম (৪০) নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে।
জানা যায়, অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম উপজেলার পারকোল গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ও ওয়ার্ড সদস্য ইদ্রিস আলীর সহচর।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সরজমিনে গেলে পারকোল গ্রামের মৃত ইসকেন্দার মন্ডলের স্ত্রী খালেদা বেওয়া (৬০), মৃত রওশন সরকারের স্ত্রী মনোয়ারা বেওয়া (৬৫), মৃত আয়েন উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে ইয়ার আলী প্রামানিক (৭০)বলেন, সিরাজুল ইসলাম ওয়ার্ড সদস্য ইদ্রিস আলীর সাথে সর্বক্ষণ চলাফেরা করেন।
এরই সুত্র ধরে বিভিন্ন জনের নিকট থেকে বিভিন্ন ভাতার কার্ড করার নামে অর্থ আদায় শুরু করে থাকে। প্রায় এক বছর আগে কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে মনোয়ারা বেওয়া ও খালেদা বেওয়ার কাছ থেকে এক হাজার করে টাকা নেন। কিন্তু কোন কার্ড না পাওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে সে তাল বাহানা শুরু করে।
ইয়ার আলীকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার নামে প্রথমে এক হাজার পরে দুই হাজার টাকা মোট তিন হাজার টাকা দেবার পরে তালিকায় নাম উঠে তার। এই তালিকায় নাম উঠার কারনে প্রতিমাসে ৫শত করে টাকা বয়স্ক ভাতা পাবেন তিনি।
এছাড়াও জুলাই ২০১৮ থেকে এপ্রিল ২০২০ সাল পর্যন্ত ১৮ মাসের ৯ হাজার টাকা ব্যংক থেকে উত্তোলন করে তা থেকে দুই হাজার টাকা নিজে রেখে ৭ হাজার টাকা ইয়ার আলীকে দেন সিরাজুল। ২ হাজার টাকা কেনো কেটে নিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাংক থেকে সাত হাজার টাকাই দিয়েছে।
সিরাজুল ইসলাম এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কারো কাছে থেকে কোন টাকা পয়সা নেই নাই।
এই বিষয়ে ইদ্রিস আলী বলেন, মনোয়ারা ও খালেদা বেওয়ার টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমার জানা নাই। তবে ইয়ার আলীর নিকট থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানার পরে তা ফেরত দিতে বলেছি সিরাজুলকে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম এ বিষয়ে বলেন, এই টাকা নেওয়ার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ বলেন, যারা ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে তারা লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্ব.বা/বা