গোদাগাড়ী প্রতিনিধি: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোদাগাড়ী পৌরসভার মহিষালবাড়ী আলোচিত নারী নির্যাতনের ঘটনায় রাজশাহী পুলিশ সুপার এসপির হস্তক্ষেপে মাদক সম্রাট, থানার দালাল ও কাউন্সিলর মোফাজ্জল ওরফে মোফার বিরুদ্ধে থানায় নারী নির্যাতনের মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে এসপির নির্দেশে মামলা হলেও পুলিশ মোফাকে গ্রেফতার করছে না। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চলতি বছরের ১৬মে শনিবার মোফা ও তার পুত্র মহিষাল বাড়িতে প্রকাশ্য চলাফেরা করলেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে মোফা ও তার পুত্রকে গ্রেফতার করেনি। তারা বলছে, মোফা থানার প্রসিদ্ধ দালাল তাই পুলিশ তাকে ধরছে না। এদিকে মোফা তার লোকজন নিয়ে বাদির বাড়িতে গিয়ে মামলা তুলে নিতে বাদির পরিবারকে নানা ভাবে ভয়ভীতি ও এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়েছে, এতে ন্যায় বিচার পাওয়া তো পরের কথা বাদি এখন পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গগত, চলতি বছরের ৩ মে গোদাগাড়ী পৌরসভার মহিষালবাড়ী মহল্লার শহিদুল ইসলাম ওরফে ভোদলের স্ত্রী মিনা খাতুনের সঙ্গে তার শাশুড়ি ডলি বেগমের সামান্য কথা কাটাকাটি হয়। শাশুড়ী ডলি খাতুন বিচার দিতে ছুটে যান ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোফাজ্জল হোসেন মোফার কাছে। খবর পেয়েই মোফা, তার ছেলে রবিউল ইসলাম রবি ও মেয়ে জান্নাতকে সঙ্গে নিয়ে মিনা খাতুনের বাড়িতে যান। মোফা, মিনা খাতুনকে টেনেহিঁচড়ে ঘর থেকে চুলের মুঠি ধরে বের করে বাড়ির আঙ্গিণায় ফেলে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে নির্দয়ভাবে পেটাতে থাকেন। সঙ্গে তার ছেলে রবি ও মেয়ে জান্নাতও মিনার মুখে চোখে লাথি কিল চড় ঘুষি দিতে থাকে এখানেই শেষ নয় মোফা ওই নারীর শ্লীলতাহানীও করে। নির্যাতিত নারীর চিৎকারে পাড়া প্রতিবেশিরা ভিড় করলেও মোফার বিরুদ্ধে কেউ টু শব্দটি পর্যন্ত করতে পারেনি। প্রায় আধা ঘন্টাব্যাপী মিনার ওপর চলে মধ্যযুগীয় নির্যাতন। মোফা ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে কয়েকজন প্রতিবেশি নারী মিনাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে গোদাগাড়ী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসায় সন্ধ্যার পর মিনার জ্ঞান ফেরে।মিনা ও তার কয়েকজন প্রতিবেশি জানান, কিছুটা সুস্থ্য হয়ে পরদিন ৪ মে সন্ধ্যার পর মিনা নির্যাতনকারী মোফা ও তার ছেলে-মেয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ নিয়ে গোদাগাড়ী থানায় অভিযোগ করেন।