নাটোর সদর হাসপাতালের ৬০৪ পিস সরকারী ঔষধ আরএমওর দুই স্বজনের কাছে থেকে উদ্ধার

রাজশাহী
আল-আফতাব খান সুইট, নাটোর: নাটোরে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আমিনুল ইসলামের কক্ষে তার দুই আত্মীয়ের কাছ থেকে বেশ কিছু হাসপাতালের চিকিৎসার জন্য সরবরাহকৃত ঔষধ উদ্ধার করা হয়েছে।
সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজানের মাধ্যমে ঔষধগুলি উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ রয়েছে এই ঔষধগুলো  তার ওই দুই আত্মীয়কে ডাঃ আমিনুল ইসলাম দিয়েছিলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঔষধগুলি জব্দ করেছেন।
হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ আসনারুল হক জানান, বিষয়টি তদন্ত করা হবে।
জানা যায় , আজ বুধবার (৩ জুন) বেলা দেড়টার দিকে আরএমও ডাঃ আমিনুল ইসলামের কাছে তার মামাত ভাই গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুরের আহমেদ অলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম স্বপন ও শফিকুলের ভায়রা নাটোর সদর উপজেলার জেলার বড়-হরিশপুর কান্দির নাজিম উদ্দিনের ছেলে জাহের উদ্দিন আসেন। এসময় ডাঃ আমিনুল ইসলাম তাদের কাছে ৬০০ পিস ঔষধ ও ৪টি ক্রিম প্রদান করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী নাটোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান জানান, তিনি চিকিৎসার প্রয়োজনে আমিনুল ইসলামের কক্ষে ঢুকেন। এসময় ভিতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল। তিনি দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকে দেখেন জাহের তার ব্যাগে বেশ কিচু ঔষধ ঢোকাচ্ছেন । এসময় শরিফুল ইসলাম রমজান এগুলো  কিসের ঔষধ জানতে চাইলে তারা সদুত্তর দিতে পারেননি। তখন  বিষয়টি তিনি হাসপাতালের  পরিচালক আসসারুল হক ও নাটোরের সিভিল সার্জন ও উপস্থিত অন্যান্য চিকিৎসকদের জানানো হলে দেখা যায় ঔষধগুলো নাটোর হাসাপাতালের রোগীদের চিকিৎসার জন্য সরবরাহ করা। তাক্ষনিকভাবে তাদর কাছ থেকে ঔষধগুলো জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ঔষধের মধ্যে রয়েছে ইসোরাল ৬০পিস, সলবিয়ন-৪০পিস, ওপি ক্যাপসল ৮০পিস, কট্রিম ১৬০ পিস  এমোক্স ৪০ পিস, প্যারাসিটামল ১০০ পিস, সিপ্রোসিন ২০ পিস, সিট্রিজিন ২০ পিস, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ৬০ পিস, এসিলোফিকাল২০ পিস এবং  জেন্টামাইসিন ক্রিম ৪টি।
এ বিষয়ে নাটোর হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট রেবেকা সুলতানা জানান, এই ঔষধগুলো তিনি দেননি।
আরএমও আমিনুল ইসলাম জানান, শফিকুলের হাত কেটে যাওয়ায় মাত্র ৪টি ক্রিম ঔষধ দিয়েছি। বাকী ঐষধগুলোর বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। জাহের উদ্দিনের কাছে কিভাবে ঔষধগুলো এলো সে বিষয়ে তিনি কোন সদুত্তর দিতে  পারেননি।
এ বিষয়ে নাটোর সদর হাসপাতালের পরিচারক আনসারুল হক জানান, ঔষধগুরো জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত দু’তিন প্রকারের ঔষধ হাসপাতালে বর্তমানে স্টকে নেই। আমা ধারণা এই ঔষধগুরো চিকিৎসার নামে জমা করে রাখা হয়েছিল। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
নাটোরের সিভিল সার্জন ডাঃ কাজী মিজানুর রহমান জানান, বিষয়টি তদন্ত করার জন্য ডাঃ আনসারুল হককে বলা হয়েছে।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *