বাঘায় আগ্নেয়াস্ত্রের গুলি ছুঁড়া-মারধর মামলার আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় পরিবার নিয়ে শঙ্কিত বাদি

রাজশাহী

বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় উপজেলার চরাঞ্চলে, গত ২৭ মে প্রতিপক্ষের আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে ও মারপিটে আহতদের পক্ষ থেকে করারিনওশা গ্রামের লালু মন্ডলের স্ত্রী জবেদা বেগম বাদি হয়ে ঘটনায় জড়িত ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এইদিন (২৭ মে) সকালে বেআইনি জনতার দলবদ্ধ হয়ে মারপিট,হত্যার উদ্দেশ্য আগ্নেয়াস্ত্রের গুলি ছুঁড়ে গুরুতর জখম,ভীতি প্রদর্শন ও হুকুমের অপরাধে মামলা রেকর্ড করা হয়। এদিকে বাদির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,এলাকায় আসামীদের ঘোরাফেরায় তাদের ভয়ে পরিবার নিয়ে শঙ্কিত তারা। তবে ঘটনার দিন আসলাম ও ফারদেশ নামের ২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, ২৭ মে সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে প্রতিপক্ষ আমজাদ আলীর নের্তৃত্বে তার ভাই ভাতিজা, অন্যান্য আতœীয়স্বজনরা, আগ্নেয়াস্ত্র রামদা,হাসুয়া,লাঠি লোহার রড নিয়ে বেআইনি জনতায় দলবদ্ধ হয়ে উপজেলার করারি নওশারা গ্রামের খোরশেদ মন্ডলের বাড়ির সামনের রাস্তায় বাদির ছেলে উজ্জলকে ঘিরে ধরে। এ সময় আসামী জিয়ারুল হুকুম দেয় তাকে মারপিট করে প্রাণে মেরে ফেলতে। এ হুকুম পাওয়া মাত্রই হত্যার উদ্দেশ্য উজ্জলকে লক্ষ্য করে হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রের গুলি ছুঁড়ে প্রতিপক্ষ কুদ্দুস। এতে ডান পায়ে লেগে গুরুতর জখম হয় উজ্জল। প্রতিবেশি শাকিল, আরিফ, জাহিদুল,হেলাল ও মহির তাকে উদ্ধার করতে আগায়ে যায়। এসময় তাদের ধাওয়া করে প্রতিপক্ষ লাবলু,শরিফ,জালাল এবং হত্যার উদ্দেশ্য হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রের গুলি ছুড়ে বেলাল। এতে শাকিলের কপালে,আরিফের ঠোটের উপরে,বাম হাতের বাহুতে,পেটে,শহিদুলের কপালের ডান পাশে.মহিরের পিঠে,হেলালের ডান কাঁধে লেগে গুরুতর জখম হয়। তারা পড়ে গেলে প্রতিপক্ষ অন্যান্যরা বাঁেশর লাঠি ও লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে মারপিট করে জখম করে। গুলিবিদ্ধ উজ্জল, শাকিল,ও আরিফকে বাঘা হাসপাতালে নেয়ার পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করানো হয়। মহির উদ্দীনকে স্থানীয়ভাবে এবং শহিদুল ও হেলালসহ অন্যদের কুষ্টিয়ার হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়।

উল্লেখ্য,গত ২৭ মে’২০ সকাল ৭টায় সংঘটিত ঘটনার আগে, নামাজ শেষে দোয়া করা নিয়ে ও ঈদুল ফিতরের নামাজ নিয়ে গত ২৪ মে করারি নওশারা মসজিদের সামনে স্থানীয় গনি মন্ডলের সাথে দায়েরকৃত মামলার ১৪ নম্বর আসামী মিলনের কথা কাটাকাটি ও তর্ক বিতর্ক হয়। মিলন বলছিলো ঈদগাহ মাঠে পড়ার কথা আর করোনার কারণে গনি মন্ডল বলছিলো মসজিদে পড়ার কথা। এনিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে পায়ের সেন্ডেল খুলে গনি মন্ডলের মুখে ছুঁড়ে মারে মিলন। পরে সেই মিলনই,আমজাদ হোসেনকে বলে গনি মন্ডল তাকে অপমান অপদস্ত করেছে। এনিয়ে শালিস বৈঠক হওয়ার কথা হলেও মিলনকে উসকায়ে দেওয়ার কারণে পরে আর শালিস হয়নি। যার জের ধরে ২৭ মে বাঘা উপজেলার করারি নওশারা গ্রামে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।

মামলার তদন্তকারি অফিসার সইবুর রহমান জানান, ঘটনার দিনই ২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে দুর্গম এলাকায় যোগাযোগ সহজ না হওয়ায় আতœগোপনে থাকা আসামীদের ধরা যাচ্ছেনা।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *