নাটোর প্রতিনিধিঃ নাটোরের লালপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে মহসিন আলী(৫৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মৃত বাক্তি করোনা আক্রান্ত ছিল কিনা সেটা নির্ণয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ না করায় আতংকে আছে এলাকাবাসী।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮জুন) দুপুরে তার মৃত্যু হয়। উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে মহসিন।
এলাকাবাসী জানায়, পাবনা জেলার ঈশ্বরদী ইপিজেডে কর্মরত ছিলেন মহসিন। চারদিন আগে আম কেনার জন্য বাড়িতে আসেন তিনি। আগে থেকেই তার অ্যাজমার সমস্যা ছিল। আজ সকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে (স্বাশ কষ্ট বেড়ে গেলে) তাকে পার্শ্ববর্তী বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে দুপুর বারোটার দিকে তার মৃত্যু হয়। কিন্তু করোনা উপসর্গ নিয়ে তার মৃত্যু হলেও করোনা সনাক্তের জন্যে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি বলেও জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয় সংবাদিক সাহীন ইসলাম জানান, এর আগে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত তার ছোট ভাই আব্দুল মজিদ ঢাকা থেকে বাড়ি আসলে তাকে হোম কোয়ারেন্টাইন এ থাকতে বলা হয়। কিন্তু তিনি এই আদেশ অমান্য করে রাতেই পালিয়ে ঢাকায় চলে যান। মৃত মহসিনের নমুনা সংগ্রহ না করায় এবং তাদের এভাবে অবাধ চলাচল এ এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানীন দ্যুতি জানান, আমরা তার মৃত্যুর খবর পেয়েছি। তবে তিনি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত কিনা তা জানতে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার মরদেহ দাফনের জন্যে অনুমতি দেয়া হয়েছে এবং আগামীকাল শুক্রবার (১৯ জুন) তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এখন থেকে নমুনা সংগ্রহের পরে সেটার ফলাফল না পর্যন্ত তাদেরকে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্ব.বা/বা