বাঘায় পদ্মার হিং¯্রতায় নদী গর্ভে যাচ্ছে, চরের পাকা রাস্তা,জমি-গাছপালা,

রাজশাহী

বাঘা : রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার অব্যাহত ভাঙনে চরের পাকা রাস্তাটির কোয়াটার কিলোমিটার নদী গর্ভে চলে গেছে। অবশিষ্ট অংশও চলে যাবে পদ্মার বুকে। ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল আযমের বাড়ি হতে কালিদাসখালীর বাবলু শিকদারের বাড়ি পর্যন্ত এক কিলোমিটার পাকা রাস্তাটি নির্মান করা হয়েছিল। পদ্মার চরের মধ্যে প্রথম পাকা রাস্তা ছিল এটি। পাকা রাস্তায় চলাচল করতে পেরে খুশি হয়েছিল চরবাসি।

জানা যায়, চকরাজাপুর ইয়নিয়নের ১৫টি গ্রামে প্রায় ২০ হাজার মানুষের বসবাস। চরবাসির দাবি ছিল ৫ কিলোমিটার পাকা রাস্তা তৈরী করা হলে শিমুলতলার ঘাট হয়ে বাঁধের পাকা রাস্তায় মিলিত হয়ে চলাচল করতে পারবে। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপির বিশেষ ব্যবস্থাপনায় এলজিইডির সার্বিক তত্বাবধানে প্রথমে এক কিলোমিটার পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয়।

এদিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়নে পদ্মার চরে ৫৩ পয়েন্ট ৮১১ কিলোমিটার বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যার কাজ চলমান। কাজটি শেষ হলে বিদ্যুত সুবিধপাবে, ৬টি চরের ২ হাজার ৪৮৬ জন গ্রাহক।
অপরেিদক একনেকে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ পাশ হলেও কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে পদ্মাপাড়ের হাজারো মানুষ। কয়ের বছরের ব্যবধানে স্কুল, মসজিদ,মাদ্রাসাসহ হাজার হাজার একর আবাদি জমি ও গাছপালা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। বাধ নির্মান করা হলে প্রতি বছরের সেই ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে তারা।
চরকালিদাসখালী প্রাইমারী স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পারভীন সুলতানা বলেন, কর্তমানে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পদ্মাপাড়ের ৫০ গজ দুরে ভাঙ্গন অবস্থান করছে। যে কোন সময়ে পদ্মা গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে।
চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সহযোগিতায় ব্রিজ ও বিদ্যুত এখন সময়ের ব্যাপার। কিন্ত বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায়,শুধু পাকা রাস্তাই নয়, নদীগর্ভে চলে গেছে,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,হাট-বাজারসহ ফসলী জমি ও গাছপালা। চর বাসির দাবি ৫ কিলোমিটার ব্রিজসহ পাকা রাস্তা আর বাধ নির্মানের।

এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা প্রকৌশলী রতন কুমার ফৌজদার বলেন, ইতিমধ্যেই খায়েরহাট আলহাজ মো. আবদুল হালিম মোল্লা মাষ্টারের বাড়ির দক্ষিণ পাশ থেকে ৬০০ মিটার ব্রিজ নির্মানের জন্য মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ব্রিজটি নির্মান করা হলেই, পাকা রাস্তার কাজও পর্যায়ক্রমে শুরু করা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক পদ্মার বাঁধ নিমাণ প্রকল্পের কাজও চলতি অর্থ বছরে কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

 

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *