ছুটির মধ্যে বাঘায় মৌসুমী আমের কাজে শিক্ষার্থীরা

রাজশাহী

আব্দুল হামিদ মিঞা,বাঘা: করোনা ভাইরাসের এই সময়ে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কয়েক মাস নিজ নিজ বাড়িতে সময় কাটাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। যাদের অনেকেই অলস বসে না থেকে জড়িয়ে পড়েছেন বিভিন্ন কাজ কর্মে। বর্তমান আম মৌসুমে অনেকের পাশাপাশি আম পাড়া,পরিবহন ও অনলাইনে অর্ডার নিয়ে সরবরাহের কাজ করছে ছাত্ররা। নিজের হাত খরচের টাকা বাঁচিয়েও সংসারের প্রয়োজনে মা-বাবাকেও সহযোগিতা করছে তাঁরা।

শুক্রবার(২৬-০৬-২০২০)সরেজমিন বাগান ঘুরে দেখা যায়,যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের মধ্যে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও রয়েছে। উপজেলার পিরগাছা গ্রামের কমল উদ্দিনের বাগানে কয়েকজন শ্রমিকের সাথে যোগ দিয়ে কাজ করছিলেন হোসেন আলী নামের একজন শিক্ষার্থী। তাঁর বাড়িও এই পিরগাছা গ্রামেই। তিনি পিরগাছা-তেঁথুলিয়া ভোকেশনাল এ্যান্ড টেকনিক্যাল কলেজের বিএম শাখার ছাত্র। এ বছর আম পাড়ার কাজসহ বাবার ভ্যানে আম পরিবহন করে প্রতিদিন আয় করছেন ৫০০টাকা।

আড়পাড়া গ্রামের অরুণ কুমার সরকারের বাগানে আম ব্যাগিংয়ের কাজ করছিলেন, ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সম্মান শ্রেণির ছাত্র মুন্না আজিজ। তাঁর বাড়িও এই আড়পাড়া গ্রামেই। একই কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী সাইদুর ইসলামকে পাওয়া যায় নওটিকা এলাকায় বগার আম বাগানে। তার সাথে এই বাগানে কাজ করছিলেন বাঘা উপজেলার শাহদৌলা সরকারি কলেজের বিএ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আশিক আহম্মেদ।

দিঘা গ্রামের আরেক শিক্ষার্থী সেলিম হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে মাসের পর মাস বাড়িতে বসে আছেন। বাবাকেও সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই অলস সময় না কাটিয়ে আমের এই মৌসুমে বাগানে বাগানে কাজ করছেন। এতে নিজের উপার্জিত হাত খরচের টাকা রেখে, মা-বাবাকেও দিতে পারছেন।

তাদের মতো মৌসুমি আমের এই সময়ে কাজে যুক্ত হয়েছেন অনেক শিক্ষার্থীই।প্রতিবছরই তাদের মতো অনেকেই আমের মৌসুমে বাগানে কাজ করে আয় করেন। মৌসুমে আমবাগানে কাজ করে একেকজন প্রায় ২০ হাজার টাকা আয় করেছেন। বাগান মালিকের কাজ বুঝে কয়েকজন ছাত্র এক সঙ্গে বিভিন্ন বাগানে কাজ করেন। তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবারও একেকজন ওই পরিমান কিংবা তার বেশিও আয় করতে পারবেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, আম পাড়া,পরিবহন ও অনলাইনে অর্ডার নিয়ে সরবরাহের কাজ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে ছাত্ররা। অপরদিকে ছুটির মধ্যে কাজে সময় পার করায় নিজেদেরকেও সার্বিকভাবে ভালো রাখতে পারছে শিক্ষার্থীরা।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *