তানোরে আওয়ামী লীগের নির্বাচনোত্তর বর্ধিতসভা

রাজশাহী

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে উপজেলা নির্বাচন ঘিরে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আওয়ামী লীগের নির্বাচনোত্তর বিশেষ বর্ধিতসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারী বুধবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সাদেকুন নবী চৌধূরী বাবুর সভাপতিত্বে ও তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকারের সঞ্চালনে উপজেলা অডিটেরিয়াম কাম-বমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিতসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামুন, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তানোর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এবং আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না ও সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের ইসলাম।

অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা মন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক লুৎফর রহমান ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক শরীফ খাঁন, তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমরুল হক, মুন্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর আমিন উদ্দীন, বাধাইড় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, সরনজাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক, তালন্দ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, চাঁন্দুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন শান্ত, মোর্শেদুল মোমেনিন রিয়াদ ও তানভির রেজা প্রমূখ। এছাড়াও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিটি ইউনিটের সাংগঠনিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, গোলাম রাব্বানীর পরিবার স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পিচ কমিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল, তবে স্বাধীনতার পরে ফ্রিডম পার্টি ও বিএনপি হয়ে তারা আওয়ামী লীগে এসেছে। তিনি বলেন, এরা কখানোই আদর্শিক আওয়ামী লীগ ছিল না এখানো নাই আগামি দিনেও থাকবে না, এরা সব সময় যেই দলে থাকে সেই দলের নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধ সম্পদ আহরণে ব্যস্ত থাকেন। অথচ আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে একশ’ বছর না হলেও তারা প্রায় একশ’ বছরের রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান বলে দাবি করে, আবার নির্বাচনের সময় এলেই তারা আওয়ামী লীগের আদর্শ, নীতি-নৈতিকতা ভূলে আওয়ামী লীগের বিরোধীতা করেন।

ইতিমধ্যে এমপি নির্বাচনে তারা এমপি ফারুক চৌধূরীর বিরোধীতার নামে আওয়ামী লীগের বিরোধীতা করে রাজনীতিতে একঘরে হয়ে পড়েছে, এখন উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরোধীতা করে শরিফুল ইসলাম ওয়ার্কাস পার্টিও হাতুড়ি প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি বলেন, একজন রাজনৈতিক নেতা রাজনীতিতে কতটা দেউলিয়া হলে এমন হয় সারাদেশে যখন অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগে যোগদান করতে মরিয়া তখন আওয়ামী লীগ ছেড়ে ওয়াকার্স পাটিতে যাওয়া থেকেই বোঝা যায়।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে থেকেও যেই ব্যক্তি কখানো জনপ্রতিনিধি হতে পারেনি সেই ব্যক্তি ওয়ার্কাস পাটির মত একটি ক্ষুদ্র রাজনৈতিক দলের প্রতিকে নির্বাচন করে বিজয়ী হবার স্বপ্ন দেখেন কি ভাবে। অন্যদিকে জুবায়ের ইসলাম বলেন, আমরা কোনো ব্যক্তি বিশেষের দল করি না আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধৃর আদর্শ বুকে ধারণ করে গণতন্ত্রের মানসকন্যা, বিশ্ব মানবতার অগ্রদূত, বঙ্গবন্ধু কন্যা, জননেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ করি।

তিনি বলেন, কে প্রার্থী হলো সেটা বিবেচ্য নয় আমরা নৌকার বিজয়ে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবো এবং বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকার বিজয় ঘটাবো ইনশাল্লাহ।

তিনি বলেন, ছাগল দিয়ে হালচাষ হয় না তাই ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা নিয়ে আমাদের ভাববার সময় নাই। তিনি বলেন, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি কর্মী-জনবান্ধব ও আদর্শিক নেতৃত্ব ময়নাকে উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করতে চাই।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *