বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় প্রতিপক্ষের হাতুড়ি পেটায় হৃদয় (২০) নামের এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছে। ঘটনার দিন বুধবার (০১-০৭-২০) রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে সে মারা যায়। এর আগে বাঘার স্থানীয় হাসপাতাল থেকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। নিহত হৃদয় বাঘা উপজেলার কলিগ্রামের বাসিন্দা দিন মোহাম্মেদ ওরফে দুখুর ছেলে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর এজাহারভ‚ক্ত নামীয় ৫জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, উপজেলার কলিগ্রামে, বুধবার (০১-০৭-২০) দুপুর আড়াইটার দিকে মেহগনি ও মাদার গাছের ডাল কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে উভয় পক্ষের ৬জন আহত হয়। দুপুৃর সাড়ে ৩টায় তাদেরকে বাঘা হাসপাতালে নেয়ার পর, জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রিফায়েত আহম্মেদ গুরুতর আহত হৃদয় (২০) ও তার সহোদর ভাই সাব্বির (১৫) কে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। রাত সাড়ে ৮টায় রামেক হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যায় হৃদয়। আহত অন্যরা চিকিৎসা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, নিজ বাড়ির সীমনায় মেহগনি ও মাদার গাছের গাছের ডাল কাটছিল হৃদয় আহম্মেদ (২০)। পাশের বাড়ির রকসেদ আলীর ছেলে সাদেক আলী (৬৪) ওই গাছ তার জমির উপর বলে দাবি করে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দলবদ্ধভাবে হাতুরী ও লোহার রড-লাঠি নিয়ে তাদের উপর হামলা করে, সাদেক আলী ও তার ছেলে সুজন আলী , স্ত্রী রুমিয়া বেগম, সুজনের স্ত্রী আজমিরা বেগম ও কল্পনা খাতুন, ফরিদ উদ্দিনসহ আরো অনেকে। এতে আহত হয়, দিল মোহাম্মদ দুখু, ছেলে সাব্বির আহম্মেদ, মাথায় ও ঘাড়ে হাতুড়ির আঘাতে গুরুতর আহত হয় হৃদয় আহম্মে। প্রতিহত করতে গিয়ে অপর পক্ষের আহত হয়েছে,রকসেদের ছেলে সাদেক আলী(৬৪), তার ছেলে সুরুজ(২৭) ও ফরিদের ছেলে মারুফ(১৩)।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, রাতে লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। এ মামলায় এজাহারভুক্ত নামীয় সাদেক আলী, রুমিয়া বেগম, আজমিরা বেগম ও কল্পনা খাতুন ও রেখাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
স্ব.বা/বা