নাটোর প্রতিনিধি: করোনায় থেমে নেই বিয়ে। তবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও সামাজিক দুরুত্ব নিশ্চিত করেই চলছে এসব বিবাহের কার্যক্রম। বিয়েতে অতিথি নেই বললেই চলে। বর-কনে ও দুই পরিবারের ৪-৫ জন সদস্য নিয়ে শুভ বিবাহ সম্পন্ন হচ্ছে। কেউ কেউ বিয়ের জন্য লাল বেনারশী শাড়ি না কিনেই মায়ের শাড়ি পড়ে মুখে মাস্ক লাগিয়ে বসছেন বিয়ের পিরিতে। মহামারি করোনা ভাইরাসে থমকে গেছে পুরো পৃথিবী। পৃথিবী জুড়েই বন্ধ হয়েগেছে সকল ধরনের অনুষ্ঠান। এরপরেও থেমে নেই মানুষের জীবন। গত ৪ মাসে ১৪৪ জন দম্পতির বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়ন রয়েছে। গত মার্চে থেকে এ পর্যন্ত ৪ মাসে মোট ১৪৪ জন দম্পতির বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে পৌর সভায় ৪৫ টি, বিয়াঘাট ইউনিয়নে ২৬টি, চাপিলা ইউনিয়নে ১৭ টি, নাজিরপুর ইউনিয়নে ২৭টি, খুবজীপুর ইউনিয়নে ৪টি এবং ধারাবারিষা ও মশিন্দা ইউনিয়নে ২৫টি বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
গুরুদাসপুর উপজেলা কাজী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম জানান, করোনার মধ্যে যে সকল বিয়ে সম্পন্ন হচ্ছে সব গুলোই প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়ের। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও সামাজিক দুরুত্ব নিশ্চিত করেই এ সকল বিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে। তারপরও বর-কনে ও দুই পরিবারের ৪-৫ জন সদস্য নিয়ে শুভ বিবাহের কার্যক্রম শেষ হয়। করোনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত আমাদের কোন কাজী বাল্যবিবাহ রেজিস্ট্রি করেনি। আনুষ্ঠানিক কোন বিয়ের খবর পেলে প্রশাসনের সহযোগিতায় বন্ধ করা হয়। কখনও অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়ের বিয়ের খবর পেলে প্রশাসনকে অবহিত করি।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমীন জানান, উপজেলা জুড়ে মার্চের শুরু থেকে এ পর্যন্ত এই ৪ মাসে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তমাল হোসেনের নির্দেশে ২০ টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই বিয়ে গুলো বন্ধ করা হয়।
ইউএনও তমাল হোসেন জানান, বাল্যবিবাহ বন্ধে উপজেলা প্রশাসন সব সময় সোচ্চার। যে কোন জায়গা থেকে খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপরও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ের আয়োজন করার অনুমতি চাইতে আসলে তাদেরকে নিষেধ করা হচ্ছে এবং সচেতনতামুলক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যে সকল বিয়ে হয়েছে এই চার মাসে তা সম্পন্ন ঘরোয়া ভাবে।
স্ব.বা/বা