নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরে নমুনা সংগ্রহে ধীরগতি পরিলক্ষিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংসদ সদস্য সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। তবে জনবল সংকটের কারনে নমুনা সংগ্রহে গতি বাড়ছেনা বলে দাবী স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে জেলায় ২২ লাখ মানুষের জন্য মাত্র ১৩ জন ল্যাব টেকনিশিয়ান কর্মরত রয়েছেন। এ হিসেবে ১লাখ ৬৯ হাজার ২৩০ জন মানুষের জন্য একজন ল্যাব টেকনিশিয়ানকে কাজ করতে হচ্ছে। ২৪ ঘন্টায় তাদের নমুনা সংগ্রহের জন্য ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। এতদসত্বেও নাটোরে নিজস্ব পিসিআর মেসিন বা পরীক্ষাগার না থাকায় সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) ভাইরোলজি বিভাগে পাঠানো হয়। সেখান থেকেও রেজাল্ট পাঠাতে বিলম্ব হওয়ায় অনেককেই শংকা নিয়ে দিন কাটাতে হয়। দেশে করোনা সনাক্ত হওয়ার পর থেকে গত প্রায় চার মাসে জেলায় ৪ হাজার ৪৭৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী ও ঢাকায় পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে ২৮১ জনের রেজাল্ট পজেটিভ এবং ৩ হাজার ৫৯০ জনের রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। শনিবার পর্যন্ত পেন্ডিং রয়েছে ৪২৮টি নমুনা রেজাল্ট। এছাড়া নমুনা বেশী দিন পড়ে থাকার কারনে ১৫৬টি নমুনা অকার্যকর (ইনভ্যালিড) হয়েছে। শনিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পরিসংখ্যান সচিব মোঃ ইয়ামিন চৌধুরীর উপস্থিতিতে নাটোরের করোনা সহ সার্বিক বিষয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য তুলে ধরেন জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ মিজানুর রহমান। তিনি নাটোরের এসব সমস্যা সমাধানের জন্য দক্ষ জনবল সহ পিসিআর মেসিন বরাদ্দের আবেদন জানান।
সভায় উপস্থিত নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ,নাটোর-১ আসনের সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুল ,সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রত্না আহমেদ নমুনা সংগ্রহে নাটোরের এমন হতাশাপুর্ন অবস্থা জানতে পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দক্ষ জনবল সহ নাটোরে একটি পিসিআর মেসিন স্থাপনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষন সহ তা বাস্তবায়নের দাবী জানান তারা।
স্ব.বা/বা