নাটোর প্রতিনিধিঃ পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নাটোর জেলার ছোট আয়তনের এই বাগাতিপাড়া উপজেলা। দুই লাখ মানুষের জন্য ৩১ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি সম্প্রতি ৫০ শয্যায় উন্নীত করার ঘোষনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ভবন নিমার্নের কাজ শুরু হলেও প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেয়া হয়নি। উপরুন্তু ৩১ শয্যার হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ ১৪ ডাক্তারের মধ্যে কর্মরত ছিলেন মাত্র ৯ জন ডাক্তার।
এসব ডাক্তারের মধ্যে সাজার্রির একজন জুনিয়র কনসালটেন্ট গত ৮ বছর ধরে এবং একজন মেডিকেল অফিসার প্রায় ৬ বছর দরে অনুপস্থিত রয়েছেন। দুই জনকে প্রেষনে নাটোর ও রাজশাহীতে নেয়া হয়েছে। পাঁজনের মধ্যে তিন জন করোনায় আক্রান্ত। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ডাক্তার স্বল্পতা সত্বেও উপজেলায় কোন বেসরকারী হাসপাতাল বা ক্লিনিক না থাকায় রোগীরা এখানেই ভির করেন। বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস শুরু হওয়ার পর এখানে দিন দিন করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। কিন্তু ডাক্তার স্বল্পতার কারনে রোগীরা তাদের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সেবা না পেয়ে অনেককেই ফিরে যেতে হয়। অনেকেই জেলা সদরে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নেন।
এজন্য তাদের সময় ও অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়। চিকিৎসা নিতে আসা অনেকের অভিযোগ হাসপাতাল থেকে শুধু ব্যবস্থা পত্র হাতে ধরিয়ে দিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
এবিষয়ে উর্দতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ব্যতিত কর্তৃপক্ষের কেউ ক্যামেরার সামনে কথা বলতে বা কোনো প্রকার সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হননি।
ডাক্তার স্বল্পতা থাকলেও কর্মরত ডাক্তাররা ২৪ ঘন্টায় দায়িত্ব পালন করে বলে জানান কাবিতা খানম নামে সিনিয়র এক স্টাফ নার্স। রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ডাক্তার সহ তারাও অতিরিক্ত সময় দায়িত্ব পালন করেন বলেও জানান তিনি।
ডাক্তার সংকটের কথা সিভিল সার্জন সহ সমন্বয় কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হলেও এখনও ডাক্তার নিয়োগ পাওয়া যায়নি বলে জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল। তিনি সংকট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সিভিল সার্জনের কাছে দাবী জানিয়েছেন।
ডাক্তার স্বল্পতার কথা স্বীকার করলেও ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি নাটোরের সিভিল সার্জন ডাঃ মিজানুর রহমান। তবে দু-একদিনের মধ্যে এই হাসপাতালের জন্য ২/৩ জন ডাক্তারকে পদায়ন করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
স্ব.বা/শা