নাটোরে ইলেকট্রিশিয়ানকে আটকে রেখে ৩ লাখ টাকা দাবির অভিযোগ

রাজশাহী লীড

নাটোর প্রতিনিধিঃ জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছেন বাগাতিপাড়া উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের ইলেট্রিশিয়ান জাহাঙ্গীর আলম স্বপন। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তালিকা ভূক্ত ওই ইলেকট্রিশিয়ান ইতিমধ্যেই বিষয়টি পুলিশ ও সংবাদ কর্মীদের জানিয়েছেন।

ইলেকট্রিশিয়ান জাহাঙ্গীর আলম স্বপন জানান, গত ২৭ আগস্ট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বাগাতিপাড়া সাবজোনাল অফিস চত্বরে কালাম নামে এক সন্ত্রাসী কয়েকজন সহযোগী সহ সেখানে যান। এসময় তারা স্বপনকে সেখান থেকে মারতে মারতে তুলে নিয়ে যায়। প্রথমে তাকে মালঞ্চি রেলগেটে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাকে পার্শবর্তী একটি গ্রামে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে কালাম ও তার সহযোগিরা।

পরে কালাম তার কাছে সাড়ে ৩ লাখ টাকা দাবি করে এবং স্বপনকে তার বাবার কাছে ফোন দিতে বলে। ফোন পেয়ে স্বপনের বাবা ছমির উদ্দিন বাগাতিপাড়া মডেল থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ স্বপনকে উদ্ধার করে। সন্ত্রাসীরা আগেই পালিয়ে যাওয়ায় সেখানে গিয়ে পুলিশ কাউকে পায়নি বলে দাবি স্বপনের।

বিষয়টি জানতে আবুল কালামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ইলেকট্রিশিয়ান স্বপনের সাথে তার বোনের বিয়ে হয়। কিন্ত যৌতুক নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় স্বপন তার স্ত্রীকে তালাক দেন। দেনমোহরের ৩ লাখ ও খোরপোষ সহ ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা দাবি করায় স্বপন এই নাটক সাজিয়েছে বলে জানান কালাম। এসব বিষয় নিয়ে স্বপনের সাথে কথা বলতে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়েছিলেন বলে জানান কালাম।

এ ঘটনায় কোন মামলা বা জিডি হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নে স্বপনকে উদ্ধারকারী বাগাতিপাড়া থানার এসআই মনিরুজ্জামান বলেন, জিডি বা কোন মামলা হয়নি তবে স্বপনকে উদ্ধারের ঘটনা সঠিক। পরিবারের অভিযোগরে প্রেক্ষিতে আমরা তাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেই। তবে মামলা করতে চাইলে অবশ্যই নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

স্বপনের বড়ভাই মাছিদুল ইসলাম বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে তার ভাইকে নির্মমভাবে মারপিট করে হয় এবং বদ্ধ ঘরে আটকিয়ে রেখে ৩লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে। এমন অন্যায়ের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন তিনি।

স্বপন দাবি করে বলেন, জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পেশাগত কারণেই বিভিন্ন এলাকায় যেতে হয়।পুনরায় মোবাইলে হুমকি দিচ্ছে তারা। যে কোন সময় তার জীবনের ক্ষতি করতে পারে। এ ঘটনায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *