প্রেসিডেন্ট জিয়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না করলে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হতেন না, মিনু

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: স্বাধীনতার ঘোষক ও গনতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ারউর রহমান ১৯৭৫ সাল পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না করলে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা কোনদিন প্রধানমন্ত্রী হতেন না। কারন জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে উদার গণতন্ত্র নীতি অবলম্বন করায় সকল দলকে সমান অধিকার দিয়েছিলেন। সে সময়ে তিনি বতর্মান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানাকে বাংলাদেশে আসার পথ সুগম করে দিয়েছিলেন।

বিএনপি’র ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজশাহী মহানগর বিএনপি আজ মঙ্গলবার দিন ব্যাপি নানা কর্মসূচী পালনের উদ্বোধণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু এই কথাগুলো বলেন।

তিনি বলেন ১৯৭৮ সালে এই দিনে বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশকে আরো শক্তিশালী ও অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী করে গড়ে তুলতে জিয়াউর রহমান কাজ শুরু করেছিলেন। তিনি সার্ক গঠন করেছিলেন।

মিনু বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা না দিলে বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ড গঠিত হতো না। অথচ বর্তমান সরকার তাঁকে রাজাকার এবং শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী হিসেবে মিথ্যাচার করছেন। বেগম জিয়াকে আবার কারাগারে নেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। এই সরকার দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তারা দেশকে ভারতের তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এই সরকারের নিকট জনগণের মূল্য নেই। তারা সর্বদা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত। পুলিশ ও প্রশাসন দিয়ে নিজেদের টিকিয়ে রেখেছে। অথচ স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কখনো প্রাণের মায়া করতেন না। তিনি জনগণ ভালোবাসতেন। দেশর উন্নয়নে সর্বদা কাজ করতে করতেন।

তিনি আরো বলেন, এ সরকার সকল ক্ষেত্রে দূর্নীতি করছে। দেশের সকল মেগা প্রকল্পের টাকা সরকার আত্মসাত করেছে। এই টাকা নিয়ে সরকারের অবৈধ এমপি, মন্ত্রী ও তাদরে দলের নেতাকর্মীরা টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছে। বিদেশে বাড়ি গাড়ি করে করেছে। নিজেদের আরাম আয়েশের জন্য ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা টাকা লুট করে ব্যাংকগুলো দেউলিয়া করেছে। তারা দেশের টাকা লুট করে সুইচ ব্যাংকে মজুত করেছে। কিন্তু তাদের কারো বিরুদ্ধে কোন প্রকার মামলা হয়নি। এই সরকার শুধু জানে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিনা কারনে মামলা দিয়ে আটক করতে। কোন কারন ছাড়াই খুন, গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যা করতে। হাজার নেতাকর্মী এখন জেল হাজতে রয়েছে।

মিনু বলেন, আবার নুতন করে বিএনপি নেতার্কীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। আইনশৃংখলা বাহিনী সরকার প্রধানকে খুশি করার জন্য এই ধরনের নীতি বিবর্জিত কার্যক্রম করছেন। আইনশৃংখলা বাহিনী ও প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাদের জনগণ আইনের আওতায় এনে বিচার করবেন বলে জানান মিনু। সেইসাথে গনতন্ত্র পুনরুদ্দারের আন্দোলনে বিএনপি. অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকমীদের জীবন বাজি রেখে রাজপথে নামার আহবান জানান মিনু।নগরীর মালোপাড়াস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সকাল সাড়ে ৭টায় দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা অবমুক্ত করণ ও ফেস্টুন উড়িয়ে দিনের কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন প্রদান অতিথি।

উদ্বোধনী ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, মহানগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউল হক রানা, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সভাপতি শওকত আলী, শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, সাংগঠনিক স্মপাদক দিলদার হোসেন, মতিহার থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক ডিকেন ও রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মুরদা পারভেজ পিন্টু।

এছাড়াও মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বাবলু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আনন্দ কুমার, মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি ইশারুদ্দিন ইশা, মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপিকা সখিনা খাতুন, নুরুন্নাহার, সামসুন্নাহার, জরিনা, পুতুল, গুলশান আরা মমতা ও রোজি, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর ছাত্রদলের মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, যুগ্মা সাধারণ সম্পাদক আকবার আলী জ্যাকি, নাহিন আহম্মেদসহ মহানগর বিএনপি’র সাংগঠনিক ৩৫ টি ওয়ার্ড অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সব শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *