আত্রাই নদীতে বাঁধ দিয়ে চলছে অবাধে মাছ শিকার

রাজশাহী লীড

নাটোর প্রতিনিধিঃ সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের গুরুদাসপুরে আত্রাই নদীসহ তার শাখা নদীগুলোতে বাঁধ দিয়ে নিষিদ্ধ সোঁতি জাল পেতে অবাধে মাছ শিকার করা হচ্ছে।

অর্থলোভী স্থানীয় একশ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এবং অতি লাভের আশায় বেশি অর্থের লোভ দেখিয়ে প্রান্তিক জেলেদের সাথে নিয়ে এই নিষিদ্ধ সোঁতি জাল পেতে মাছ শিকার করছে।

বুধবার ৯ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে গিয়ে এলাকায় দেখা যায়, উপজেলা আত্রাই নদীতে বিয়াঘাট ইউনিয়নের সাবগাড়ী বাজার পয়েন্ট, হরদমার নালে এবং খুবজীপুর ইউনিয়নের কালাকান্দর এলাকার পয়েন্ট আত্রাই নদীতে বাঁধ দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করা হচ্ছে।
আত্রাই নদীর উভয় তীরে বাঁশ,চাটাই ও নেট জালের সাহায্যে বাধ দিয়ে নদীকে সংকুচিত করা হয়েছে। নদীর স্বাভাবিক প্রবাহিত পানির গতিকে বহুগুন বাড়িয়ে কৃত্রিম স্রোত সৃষ্টি করে নিষিদ্ধ সোঁতি জাল পেতে মাছ শিকার করা হচ্ছে। আত্রাই নদীতে এভাবেই চলছে অবৈধ সোঁতিজাল পেতে মাছ শিকারের মহোৎসব।

এভাবে অবৈধ সোঁতি জাল পাতার কারণে ছোট-বড় সব ধরনের মাছ সহ জলজ প্রানি ধরা পড়ছে। এতে করে আত্রাইসহ বিভিন্ন নদ-নদী, জলাশয় ও চলনবিল এলাকায় ছোট-বড় মাছ সহ জলজ প্রানি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া নদীর স্রোতের কারনে প্রায়ই ঘটছে নৌকা ডুবির মত ঘটনা। স্রোতের কারনে প্রতিবছর নদীর উভয় তীর ভাঙ্গনের সৃষ্টি হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার একাধিক ব্যাক্তি জানান, সাবগাড়ি এলাকায় সূঁতি রবি, আব্দুল মান্নান ও তার সহযোগীরা শাখা নদীতে, (ক্যানেলে), দুলাল ও তার সহযোগী এবং কালাকান্দর পয়েন্টে রবিউল করিম ওরফে সূঁতি রবি ও তার সহযোগীরা ওই স্রোতিজালের ফাঁদ পেতে মাছ শিকার করছেন।

এ বিষয় জানতে চাইলে সোতির মালিকদের পক্ষে সুতি রবি সোঁতি জাল অবৈধ বলে শিকার করে জানান, এলাকার প্রান্তিক জেলেদের সাথে নিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই মাছ শিকার করা হচ্ছে। তবে কোন প্রভাব খাটানোর অভিযোগকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছেন তিনি।

গুরুদাসপুর উপজেলা নদী ও পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন কমিটির সাধারন সম্পাদক মজিবুর রহমান মজনু জীব বৈচিত্র সহ নদী ও বিলকে রক্ষা করতে এসব অসাধু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, তারা বিষয়টি অবগত আছেন। কমসংখ্যক লোকবলের কারনে সময়মত অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয়না। তবে তারা অচিরেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে সোঁতিজাল উচ্ছেদ অভিযান শুরু করবেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তমাল হোসেন বলেন এধরনের অভিযোগ পাওয়ার পর সহকারী কমিশনার ভুমি ও মৎস্যকর্মকতার্কে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *