সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে রপ্তানি বন্ধ করে ৪০০ ট্রাক পেঁয়াজ ফিরিয়ে নিলো ভারত

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে রপ্তানি বন্ধ করে ৪০০ ট্রাক পেঁয়াজ ফিরিয়ে নিয়েছে ভারত। এসব পেঁয়াজ টেন্ডার করা ছিল। বাংলাদেশে রপ্তানি করার জন্য পেঁয়াজের ট্রাকগুলো ভারতের মহদীপুর বন্দরে আনা হয়েছিল।

জানা গেছে, চার শতাধিক ট্রাকের মধ্যে মাত্র ৮ ট্রাক পেঁয়াজ তারা সোনামসজিদ বন্দরে পাঠায়। এরপরই রপ্তানি বন্ধ করে দেয়।

ওই ৮ ট্রাক পেঁয়াজের তিন ভারে একভাগই পচা বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

চার শতাধিক ট্রাকের মধ্যে শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ৩০০ ট্রাক এবং পরে আরও ১০০ ট্রাক পেঁয়াজ মহদীপুর বন্দর থেকে ফেরত নিয়ে যায় সংশ্লিষ্টরা।

সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আ. আওয়াল বলেন, ১৪ সেপ্টেম্বরের আগে টেন্ডারকৃত পেঁয়াজ সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে কি পরিমাণ ছিল তা নিশ্চিত না হওয়া গেলেও টেন্ডারকৃত পেঁয়াজের পরিমাণ আরও বেশি। কিন্তু বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা পেঁয়াজ ভারত না দিয়েই ফিরিয়ে নিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মহদীপুর বন্দরে হাতেগোনা কয়েকটি ট্রাকে থাকা পেঁয়াজ নষ্ট হওয়ার ভয়ে স্থানীয় আড়ৎগুলোতে খালাস করা হলেও আটকে পড়া বাকি সব পেঁয়াজ বন্দর থেকে সরিয়ে ফেলে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এতে করে এ বন্দর দিয়ে আর বাংলাদেশে পেঁয়াজ প্রবেশের সম্ভবনা নেই।

এদিকে, ভারত থেকে আসা ২১৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজের এক তৃতাংশই পঁচা হওয়ায় অধিকাংশ পেঁয়াজ পানির দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের। আবার বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ একদম পঁচে যাওয়ায় ফেলে দিতে হয়েছে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এ ব্যাপারে খাদিজা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আজিজুল ইসলাম জানান, তার ১০ ট্রাক পেঁয়াজ আসার কথা ছিল। কিন্তু পেয়েছেন মাত্র দুই ট্রাক। এসব পেঁয়াজের এক তৃতীয়াংশ ফেলে দিতে হয়েছে। অর্ধেক পেঁয়াজ ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে এবং কিছু পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।

সোনামসজিদ বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের পোর্ট ম্যানেজার মাঈনুল ইসলাম জানান, মহদীপুর দিয়ে লোক দেখানো আটটি ট্রাকে ২১৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ রপ্তানি করে বাকি পেঁয়াজ সরিয়ে নিয়েছে ভারত। ওই আট ট্রাক পেঁয়াজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খালাস করে বন্দর থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *